‘মাঙ্কিগেট’ কেলেঙ্কারি দূরে ঠেলে সাইমন্ডসের জন্য হরভজনের প্রার্থনা

দুজনকে এক করে দিল সাইমন্ডসের মৃত্যুছবি : টুইটার

বলা হয়ে থাকে, অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ওই এক ঘটনাতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।

সিডনিতে ২০০৮ সালে ‘নিউ ইয়ার টেস্ট’টা বোধ হয় ভারত-অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট সম্পর্কে আলাদা একটা অধ্যায় হয়েই থাকবে। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস অভিযোগ করেছিলেন, ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিং তাঁকে ‘বানর’ বলেছেন। ক্রিকেটে এটা ‘কুখ্যাত’ হয়ে আছে ‘মাঙ্কিগেট কেলেঙ্কারি’ নামে।

ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা দিয়েই পার পেয়ে যান হরভজন
ছবি : এএফপি

ম্যাচ রেফারি মাইক প্রক্টর বর্ণবাদের দায়ে তিন টেস্টের জন্য বহিষ্কার করেছিলেন হরভজনকে। সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভারত আপিল করেছিল এই বলে যে তাদের সংস্কৃতিতে ‘বাঁদর’ নেহাতই ইয়ারদোস্তিদের নিরীহ গালি; হুমকি দিয়েছিল সিরিজের মাঝপথেই দেশে ফিরে যাওয়ার।

আরও পড়ুন

আপিলের পর অবশ্য ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা দিয়েই পার পেয়ে যান হরভজন। এরপর ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন সাইমন্ডস।

আরও পড়ুন

ওই ঘটনার পর থেকেই সাইমন্ডসের ক্যারিয়ার–গ্রাফ নামতে থাকে, যার চূড়ান্ত পরিণতি আসে অবসরের মাধ্যমে। হরভজন-সাইমন্ডসের ওই বরফ গলতে অনেক সময় লেগেছিল।

আরও পড়ুন

মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছিল আইপিএল। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলতে গিয়ে সেই রেষারেষি অনেকটাই ভুলে গিয়েছিলেন হরভজন-সাইমন্ডস। আজ সাইমন্ডসের মৃত্যুর পর সেই বিরোধ যেন একদম শূন্যের কোঠায় নেমে এল। অস্ট্রেলিয়ান এই অলরাউন্ডার বাংলাদেশ সময় আজ ভোরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

হঠাৎই চলে গেলেন সাইমন্ডস
ছবি : এএফপি

সাইমন্ডসের মৃত্যুতে অতীতের সব শত্রুতা, বৈরিতা দূরে ঠেলে দিয়েছেন হরভজন। কামনা করেছেন সাইমন্ডসের পারলৌকিক শান্তির, ‘অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের হঠাৎ মৃত্যুর খবর শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি। খুব তাড়াতাড়িই চলে গেল ও। ওর পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমার সহমর্মিতা। ওর আত্মার শান্তি কামনা করি।’