বাজবলই ইংল্যান্ডের প্রধান সমস্যা, বলছেন অশ্বিন
ইংল্যান্ড ‘বাজবল’ কৌশলে কতটা সফল? পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলার এই কৌশল অবলম্বন করে ইংল্যান্ড ভালোই করছে।
‘বাজবল’ পরিচিত হওয়ার পর ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড এখন পর্যন্ত ৩৮টি টেস্ট খেলেছেন, যেখানে দলটি জিতেছে ২৪ ম্যাচ। খারাপ বলার সুযোগ নেই। তবু ইংল্যান্ডের খেলার কৌশলের সমালোচনা করেন অনেকেই। এই যেমন রবিচন্দ্রন অশ্বিন; ভারতের সাবেক স্পিনার মনে করেন, বাজবলই ইংল্যান্ডের প্রধান সমস্যা।
চলতি ভারত–ইংল্যান্ড সিরিজে এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে ৩৩৬ রানে হেরেছে ইংল্যান্ড। এই হারের পর অশ্বিন ইংল্যান্ড এবং তাদের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কঠোর সমালোচনা করেছেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের কোনো ইগো নেই। তাদের প্রধান সমস্যাই বাজবল।’
অশ্বিন বাজবলকে ভিন্ন চোখে দেখছেন। তাঁর মতে, নিউজিল্যান্ডের খেলার ধরন ইংল্যান্ডে টেনে আনার নামই বাজবল। নিজের ব্যাখ্যায় অশ্বিন বলছেন, ‘বাজবল আসলে ম্যাককালামের নিজ দেশ নিউজিল্যান্ডের খেলার ধরন এবং পিচ ও কন্ডিশনকে ইংল্যান্ডে এনে প্রয়োগ করার একটা চেষ্টা। নিউজিল্যান্ডে টেস্ট ম্যাচের প্রথম সকালে উইকেটে আর্দ্রতা থাকে, তখনই উইকেট নেওয়ার সবচেয়ে ভালো সুযোগ থাকে। এরপর পিচ ফ্ল্যাট হয়ে যায়। পঞ্চম দিনের শেষ সেশনে সেটা ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়।’
নিউজিল্যান্ডের খেলার ধরন ইংল্যান্ডে কাজ করবে না বলে মনে করেন অশ্বিন, ‘নিউজিল্যান্ডে নিল ওয়াগনার একের পর এক বাউন্সার মারে। ট্রেন্ট বোল্ট সুইং করায়, টিম সাউদি নিয়ন্ত্রণ রাখে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড আর ইংল্যান্ডের খেলার কন্ডিশনের মধ্যে বিশাল পার্থক্য আছে। ইংল্যান্ডে সিম আর সুইং খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যার জন্য তারা এত দিন নিজেদের মাঠে ভালো করেছে। হ্যাঁ, সব টেস্ট জেতেনি, কিন্তু জেমস অ্যান্ডারসন আর স্টুয়ার্ট ব্রডের মতো বোলারদের জন্য তারা অনেক সফল হয়েছে। ম্যাককালাম এসে খেলোয়াড়দের বলেছে স্বাধীনভাবে খেলতে। সে চায় ফ্ল্যাট পিচ। নিউজিল্যান্ডে দুই ম্যাচের সিরিজে এটা হয়তো চলে, কিন্তু ইংল্যান্ডের পাঁচ ম্যাচের সিরিজ চলবে না।’
ভারত–ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজটি পাঁচ ম্যাচের। তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামীকাল লর্ডসে। সিরিজ এখন ১-১ সমতায়।