ইবাদতের জীবন থেকে ‘চেষ্টা ব্যাপারটি শেষ’

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলে আছেন ইবাদত হোসেনশামসুল হক

জিম্বাবুয়ে সফরের শুরুতে দলে ছিলেন না ইবাদত হোসেন। ১৭টি টেস্ট খেলা পেসারের এ সফরের আগে সাদা বলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাই ছিল না। লিটন দাসের পর নুরুল হাসান চোটে পড়ে সফর থেকে ছিটকে যাওয়ায় মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে ডেকে পাঠানো হয় ইবাদতকেও, অবশ্য সে সময় চোটের শঙ্কা ছিল দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামেরও। খুলনায় বাংলা টাইগার্সের হয়ে এইচপি দলের বিপক্ষে খেলার প্রস্তুতি নিতে থাকা ইবাদত হঠাৎ পাওয়া ফোন কলেই রওনা দেন হারারের উদ্দেশে।

সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে অভিষেকও হয় ইবাদতের। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সিকান্দার রাজার উইকেটসহ নেন দুটি। ইবাদত এরপর ডাক পেয়ে গেছেন এশিয়া কাপের দলেও, যেটি হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। এমন সময় তিনি এ সংস্করণে ডাক পেলেন, যখন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ নড়বড়েই। অবশ্য ইবাদত ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসীই।

আরও পড়ুন

জিম্বাবুয়ে সফরের পর এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ দলের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু হয়নি এখনো। ওই সফরে ছুটিতে থাকা নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করছেন কয়েক দিন ধরে। আজ এসেছিলেন মুশফিকুর রহিমও। এসেছিলেন চোটের কারণে দলে না থাকা লিটন দাস, পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জিমনেসিয়ামে সময় কাটিয়েছেন তিনি। জিম করেছেন ইবাদতও, ইনডোরে বোলিং-ও করেছেন।

জেমি সিন্ডন্সের সঙ্গে সাকিব আল হাসান, শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলন শেষে বেরিয়ে আসার পথে
শামসুল হক

এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন এ পেসার। দলীয় পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে, আমি মনে করি, চেষ্টা একটা জিনিস আর আমি করে দেখাব একটা জিনিস। আমার জীবন থেকে চেষ্টা ব্যাপারটা শেষ। আমি করে দেখাব ইনশাআল্লাহ, আমি করব। দল হিসেবে ভালো খেলছি না, তার মানে আমরা টি-টোয়েন্টি খেলতে পারি না, তা না। আমরা দ্রুতই ভালো দল হয়ে উঠব ইনশাআল্লাহ। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

আরও পড়ুন

এর আগে বেশ কয়েকটি সিরিজে ওয়ানডে দলে থাকলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি ইবাদতের। সেখানে একটি ওয়ানডে খেলার পর সুযোগ পেয়ে গেলেন টি-টোয়েন্টি দলেও। টি-টোয়েন্টি নিয়ে ২৮ বছর বয়সী এ পেসারের ভাবনা এমন, ‘সুযোগটা পেয়েছি। টেস্টে সারা দিন বোলিং করার ব্যাপার থাকে। টি-টোয়েন্টির মতো সংক্ষিপ্ত সংস্করণে গতি নিয়ে বোলিং করতে হয়, যেহেতু উইকেট ভালো থাকবে, ব্যাটসম্যানরা আক্রমণামত্মক থাকবে। পরিকল্পনা করে বোলিং করাটাই মূল বিষয়।’

দল হিসেবে সফল হতে গেলে বাড়তি দায়িত্ব সবাইকেই নিতে হবে, মনে করিয়ে দিয়েছেন ইবাদত, ‘আমরা বোলাররা যদি কম রানে আটকে রাখতে পারি, ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ হয়ে যায়। বাড়তি দায়িত্ব সবার থাকবে। ব্যাটসম্যান, বোলার, ফিল্ডার—সবাই মিলেই চেষ্টা করব।’

২৭ আগস্ট শুরু এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৩০ আগস্ট, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। দেশ ছাড়ার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা আছে বাংলাদেশ দলের।

আরও পড়ুন