বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের মৃত্যু
২৬ জুলাই ২০২৪, প্যারিসের টুইলারি বাগান। আকাশে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যাতেই জ্বলে উঠেছিল অলিম্পিক মশাল। শতবর্ষ পার করা চার্লস কস্তের জীবনে সেটাই ছিল ‘সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলোর একটি’। সেদিন তিনি হাতে থাকা মশাল তুলে দিয়েছিলেন ফরাসি অলিম্পিয়ান টেডি রিনারের হাতে।
প্যারিস অলিম্পিক শুরুর প্রায় এক মাস আগে আয়োজকদের কাছ থেকে ফোন পেয়েছিলেন তিনি। অনেকটা নিভৃতেই তাঁকে জানানো হয়েছিল, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষ দিকে মশালবাহকদের একজন হবেন তিনি।
১০১ বছর বয়সী সেই চার্লস কস্তে আর নেই। ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী মারিয়ানা ফেরারি গতকাল তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্য দিয়ে বিদায় নিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক সাবেক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন।
১৯২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া কস্তে ছিলেন ট্র্যাক সাইক্লিস্ট। ১৯৪৮ সালের লন্ডন অলিম্পিকে ছেলেদের টিম পারস্যুট ইভেন্টে তিনি জেতেন স্বর্ণপদক।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কস্তে মারা গেছেন গত বৃহস্পতিবার। গতকাল মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে মারিয়ানা ফেরারি বলেন, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানলাম, লন্ডন অলিম্পিকের চ্যাম্পিয়ন চার্লস কস্তে মারা গেছেন। খেলাধুলায় তিনি রেখে গেছেন সমৃদ্ধ এক ঐতিহ্য।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ছিলেন প্রতিশ্রুতিশীল সাইক্লিস্ট। যুদ্ধ শেষে আবার নামেন ট্র্যাকে। ১৯৪৭ সালে জেতেন ফ্রান্সের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। পরের বছর লন্ডন অলিম্পিকে সাইক্লিংয়ের টিম পারস্যুট ইভেন্টে সেমিফাইনালে ব্রিটেন ও ফাইনালে ইতালিকে হারাতে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর।
গত জানুয়ারিতে হাঙ্গেরিয়ান জিমন্যাস্ট আগনেস কেলেতি মারা যাওয়ার পর বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ছিলেন চার্লস কস্তে।
বৃষ্টি ভেজা সেই প্যারিসের আকাশে মশাল হাতে তাঁর হাসিটাই এখন রয়ে গেল স্মৃতিতে—এক শতাব্দী পেরোনো এক চ্যাম্পিয়নের আলো হয়ে।