প্রতিপক্ষ যখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, তখন লড়াই করাটাও তো কম কিছু নয়। জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে চেন্নাইয়ের মেয়র রাধাকৃষ্ণান স্টেডিয়ামে আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন বাংলাদেশের আমিরুল ইসলাম। তবু জুনিয়র হকি বিশ্বকাপের ম্যাচটা ৫–৩ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।
র্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দূরত্ব বিশাল। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দল এখন ৪ নম্বরে, আর বাংলাদেশ ২৯তম স্থানে। শুধু র্যাঙ্কিং নয়, জুনিয়র হকিতেও অস্ট্রেলিয়া সফল ও অভিজ্ঞ দল।
এ নিয়ে ১৩ বার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে খেলছে অস্ট্রেলিয়া। আগের ১২ আসরের চারবার ফাইনাল খেলেছে তারা, ১৯৯৭ সালে হয়েছে চ্যাম্পিয়নও। আর বাংলাদেশ খেলছে এবারই প্রথম।
এমন এক দলের বিপক্ষে প্রথম ও শেষ কোয়ার্টারে প্রায় সমানে সমানে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। প্রথম কোয়ার্টারে ১–১–এ সমতার পর শেষ কোয়ার্টারেও এক গোলের বিপরীতে এক গোল শোধ করে বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় কোয়ার্টারটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই সময় ৩ গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা। মাত্র ৪১ সেকেন্ডে গোল হজম করে সিগফ্রাইড আইকম্যানের দল। তবে জবাব দিতে বেশি সময় লাগেনি। ১৪ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান আমিরুল ইসলাম। ১৭ মিনিট পর্যন্ত স্কোরলাইন ছিল ১–১। এরপর যেন দৃশ্যপট বদলে গেল।
১৮ থেকে ২৩—মাত্র পাঁচ মিনিটে রীতিমতো ঝড় তোলে অস্ট্রেলিয়া। এই সময়ে আরও তিনবার গোল উদ্যাপন করে তারা। বাংলাদেশও সুযোগ পায়নি, তা নয়; ৩০ মিনিটে টানা চারটি পেনাল্টি কর্নার পেয়েও প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। তবে ৪২ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন আমিরুল।
৫৯ মিনিটে আবারও আমিরুলের ঝলক। দুর্দান্ত এক পেনাল্টি কর্নার থেকে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। তবে তখন ম্যাচে ফেরার আর পথ খোলা ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৫–৩ ব্যবধানে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এবার গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া ও ফ্রান্স অনূর্ধ্ব–২১ দল। আগামীকাল রাধাকৃষ্ণান স্টেডিয়ামে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২৪ দলের এই বিশ্বকাপ শেষ হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর।
গত বছর ওমানের মাসকটে হওয়া জুনিয়র হকি এশিয়া কাপে পঞ্চম হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই অর্জনই মেহরাব–ওবায়দুলদের প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপের দরজা খুলে দেয়।