কাঠমান্ডুতে আজ শেষ হওয়া দক্ষিণ এশিয়ান যুব টেবিল টেনিসে অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিভাগে ৭টি ব্রোঞ্জ জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এবার এশিয়ান যুব টেবিল টেনিসের মূল পর্বে যেতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। মূল পর্বের টিকিট মেলে সাফ যুব চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-১৯ ছেলে বা মেয়েদের দলীয় সোনা বা রুপা জিতলে। এর আগে ২০২২ সালে এই ইভেন্টে ছেলেদের বিভাগে সোনা ও ২০২৪ সালে একই বিভাগে রুপা জিতে মূল পর্বে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু এবার কোনো বিভাগেই রুপা পায়নি বাংলাদেশ।
এই ব্যর্থতার কারণ হিসেবে প্রস্তুতি স্বল্পতাকে দায়ী করছে টিটির বর্তমান অ্যাডহক কমিটি। যদিও ১৬ খেলোয়াড়ের ১৪ জনই বিকেএসপির নিয়মিত খেলোয়াড়, যাঁরা সারা বছর মোস্তফা বিল্লাহর অধীন অনুশীলন করেন। মোস্তফা বিল্লাহ এই সফরে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হয়ে গেছেন। ব্যর্থতা নিয়ে কাল কাঠমান্ডু থেকে তিনি বলেছেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিভাগে আমাদের সেরা খেলোয়াড় আবুল হাশেম হাসিব অসুস্থ থাকায় কোনো ম্যাচই খেলতে পারেনি। ফলে আমরা দারুণ নেপালের সঙ্গে দারুণ লড়লেও ফাইনালে ওঠা সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া প্রস্তুতির স্বল্পতা ছিল। মাত্র ২৫ দিন পেয়েছি। তারপরও একটুর জন্য হলো না।’
তবে বাংলাদেশ দলের এমন ফলাফলে সমালোচনা হচ্ছে বর্তমান অ্যাডহক কমিটির। কেউ কেউ বলছেন, ফেডারেশনের ব্যর্থতায় এমন ফল। ভালো প্রস্তুতি কেন নেওয়া হলো না, কেউ কেউ তুলছেন এমন প্রশ্নও। তা ছাড়া ফেডারেশনের নেই ‘টিম স্পিরিট’। সবাইকে এক করে কাজ করা হচ্ছে না, এমন অভিযোগও শোনা যায়।
তবে এটা ঠিক, বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নিয়েছে বেশি দিন হয়নি। কমিটির ঘোষণা হয়েছে ২৮ জানুয়ারি। কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ বলেছেন, সাধ্যমতো তাঁরা চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মূল খেলোয়াড় হাসিব অসুস্থ থাকায় দল দুর্বল হয়ে যায়। এ কারণে ফাইনালে ওঠা যায়নি। তবে এসএ গেমসকে সামনে রেখে ভালো প্রস্তুতি নেবে টিটি দল।
বাংলাদেশ এবার সাতটি ব্রোঞ্জের মধ্যে পাঁচটি জিতেছে অনূর্ধ্ব–১৯ বিভাগে। ছেলে ও মেয়েদের দলীয় এবং দ্বৈতে ব্রোঞ্জের সঙ্গে ব্রোঞ্জ এসেছে ছেলেদের এককে। বাকি দুইটি ব্রোঞ্জ অনূর্ধ্ব–১৫ বিভাগে ছেলে ও মেয়েদের দ্বৈতে।