৭ কোটি টাকার অ্যাথলেটিকসে এমন জালিয়াতি, দেওয়া হলো না পদক

শেখ কামাল স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকসে পুরস্কারের মঞ্চে পুরস্কারই দেওয়া হয়নিছবি: প্রথম আলো

প্রতিযোগিতা হলো কিন্তু খেলোয়াড়েরা বাড়ি ফিরলেন কিনা পুরস্কার ছাড়াই! চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ কারা, জানা গেল না সেটিও।

এই অভিনব কাণ্ড ঘটেছে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন আয়োজিত প্রথম শেখ কামাল স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকসে। আজ বনানী আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে শেষ দিনের খেলা। এতে অংশ নিয়েছে আটটি বিভাগ।

আরও পড়ুন

৩২টি ইভেন্টের মধ্যে পরশু চূড়ান্ত পর্বের প্রথম দিনে ১৬ ইভেন্টে ৮টিতে পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরই ধরা পড়ে বিভিন্ন বিভাগের জালিয়াতি। কেউ বয়স চুরি করেছে, কেউবা তালিকাভুক্ত খেলোয়াড়ের বাইরে অন্য খেলোয়াড় নিয়ে এসে পদক জিতেছে। এসব জালিয়াতি ধরা পড়ার কারণে আজ শেষ দিনে ১৬ ইভেন্টের কোনোটিরই পদক দেওয়া হয়নি।

আজ বনানী আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে শেষ দিনের খেলা
ছবি: প্রথম আলো

পদক না দেওয়ায় ব্যাখ্যা হিসেবে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘পদকজয়ীরা যে স্কুলের প্রতিযোগী, সেই স্কুলের প্রত্যয়নপত্র তারা দেখাতে পারেনি। তাই আমরা ঠিক করছি, পরে সব যাচাই–বাছাই করে পদক পৌঁছে দেওয়া হবে।’

ফেডারেশনের সহসভাপতি ফারুকুল ইসলাম বলেন, ‘একটা মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই প্রতিযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা আজ আমরা পদক দিতে পারলাম না। যা খুবই দুঃখজনক। অনিয়ম ছেলেমেয়েরা করেনি, করেছে সংগঠকেরা। এটা ঠিক হয়নি। আমরা এ ঘটনায় খুবই ব্যথিত।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

ফারুকুল ইসলামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ৩৪ পদকজয়ীকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। ঢাকা বিভাগের ১১ জন; রংপুরের ১০; খুলনা ও ময়মনসিংহের ৫; রাজশাহীর ২; বরিশাল ও সিলেটের ১ জন।

বিভাগগুলোকে বলা হয়েছিল, প্রতি ইভেন্টে বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা তিনজনের দুজনকে চূড়ান্ত পর্বে পাঠাতে। কিন্তু বিভাগগুলো জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে।

আগামীর অ্যাথলেট তুলে আনতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল
ছবি: প্রথম আলো

আগামীর অ্যাথলেট তুলে আনতে তৃণমূল পর্যায়ে এই প্রথম করা হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। ১৪-২৮ জানুয়ারি খেলা হয়েছিল ৪৯৪টি উপজেলায়। ৯-১৪ ফেরুয়ারি হয় জেলা পর্যায়ে। ঢাকা বিভাগের খেলা দিয়ে ৫ মার্চ শেষ হয় বিভাগীয় প্রতিযোগিতা। আর আজ শেষটা হলো গোটা আয়োজনে চুনকালি মেখে।

আরও পড়ুন