উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন ৩৫ বছর আগে। তিনি বাংলাদেশে দাবার সবচেয়ে বড় নাম, বাংলাদেশের খেলার জগতের বড় তারকা। অজস্র অর্জন। সেই নিয়াজ মোরশেদ এখন দারুণ উচ্ছ্বসিত ও রোমাঞ্চিত। চীনের হাংজুতে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যে দেশের পতাকা বহন করবেন!

আরও পড়ুন

‘আমরা আলতু–ফালতু জিনিস নিয়ে আছি’

নিয়াজ অবশ্য একা নন। এশিয়াডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লাল-সবুজ পতাকা বহনে তাঁর সঙ্গী জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। প্রথম আলোকে নিয়াজ বলেন, এশিয়াডে দেশের পতাকা বহন করাটা তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনের বড় ঘটনা। শুনুন নিয়াজের মুখেই, ‘অনেক বছর ধরেই খেলছি। দাবা এশিয়াডে খুব প্রচলিত খেলা নয়। এই খেলার একজন হয়ে এবার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি। আর কত দিন খেলব জানি না। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের পতাকা বহন করতে পেরে নিজেকে খুবই সম্মানিত বোধ করছি। যদিও আমি একা নই ফুটবলার সাবিনাও আছেন। আমরা দুজন মিলেই পতাকা বহন করব।’

সাবিনা খাতুন
ছবি : প্রথম আলো

১৯৮৭ সালে নিয়াজ দাবায় গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেছিলেন। সে সময় তিনি দেশের তো বটেই, এই উপমহাদেশেরই প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার ছিলেন। ৩৫ বছর ধরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দাবায় তাঁর অনেক অর্জন কিন্তু এশিয়াডে দেশের পতাকা বহন করাটা তাঁকে বেশ রোমাঞ্চিত করছে। তবে একই সঙ্গে তাঁর আক্ষেপও আছে, ‘কেন যেন খুব রোমাঞ্চিত অনুভব করছি। এশিয়ান গেমস অনেক বড় পরিসরের আসর। সেখানে দেশের অন্যতম পতাকা বাহক আমি! বিরাট ব্যাপার। ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসে এই সুযোগ পেলাম। দেশের একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমি আনন্দিত।’

আরও পড়ুন

গ্র্যান্ডমাস্টার নেই ১৪ বছর, অপেক্ষা ফুরাবে কবে

এশিয়াডে নিয়াজ মোরশেদের সঙ্গে দেশের পতাকা ধরার সুযোগ পেয়ে আপ্লুত বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনও। প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। নিয়াজ মোরশেদের মতো ক্রীড়াবিদের সঙ্গে দেশের পতাকা বহন করার সুযোগ পেয়েছি। সম্মানিত বোধ করছি।’

এশিয়ান গেমসে নিয়াজ মোরশেদ অংশ নিচ্ছেন দলীয় ইভেন্টে। সাবিনাদের নারী ফুটবল দল প্রথমবারের মতো যাচ্ছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া আসরে। বাংলাদেশ নারী দলের গ্রুপে আছে জাপান, ভিয়েতনাম ও নেপাল।