ক্লাব কাপ হকি: মেরিনার্সের কাছে মোহামেডানের এ কেমন হার

জয়ের পর মেরিনার্সের খেলোয়াড়দের উদ্‌যাপনশামসুল হক

দুই দল প্রথম ম্যাচ জিতেই সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছিল। গ্রুপ–সেরার লড়াইয়ে আজ মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও মেরিনার ইয়াংস। ২৭ মাস পর ক্লাব কাপ দিয়ে শুরু হওয়া ঘরোয়া হকিতে এটিই ছিল প্রথম বড় ম্যাচ।

ঘরোয়া হকিতে বড় দলের ম্যাচ মানেই গোলমাল। আজ অবশ্য কোনো গোলমাল হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবেই ম্যাচ শেষ হয়েছে। তবে ভিআইপি বক্সে দর্শক উপস্থিতিতে বড় ম্যাচের আমেজ ঠিকই ছড়ায়। এ ম্যাচে দুই দলই মাঠে নেমেছে বিদেশিদের নিয়ে। মোহামেডান গতকাল উড়িয়ে এনেছে নিউজিল্যান্ডের ডিফেন্ডার চার্লস উলরিচ, নেদারল্যান্ডসের স্ট্রাইকার মেনজ স্টিজন ও অস্ট্রেলিয়ার মিডফিল্ডার রিচমন্ড কনরকে। তিনজনই অস্ট্রেলিয়ার পার্থে স্থানীয় লিগে খেলেন। মেরিনার্সে খেলেছেন তিন ভারতীয়—প্রদীপ মোর, অজয় যাদব ও দীপক।

আরও পড়ুন

ইউরোপের খেলোয়াড় আনায় অনেকে মোহামেডানকে এগিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু মোহামেডান আজ দাঁড়াতেই পারেনি মেরিনার্সের সামনে। স্কোরলাইনও সেটাই বলছে। সবাইকে চমকে দিয়ে মেরিনার্স এই ম্যাচ জিতেছে ৫-১ গোলে।

মেরিনার্সের ৫ গোলের ৪টিই দেশিদের। ২টি গোল করেছেন মইনুল ইসলাম কৌশিক। ১টি করে গোল মিলন হোসেন ও সোহানুর রহমানের। অন্য গোলটি ভারতীয় খেলোয়াড় প্রদীপের। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়া মোহামেডানকে সমতায় ফেরান চার্লস উলরিচ (১-১)। কিন্তু মোহামেডানের ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়েরা বলার মতো কোনো স্টিক ওয়ার্ক দেখাতে পারেননি। চার্লস রক্ষণ থেকে বারবার ওপরে উঠলেও বাকি দুজন ছিলেন নিষ্প্রভ। তবে ভালো খেলেছেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমি। আক্রমণভাগে যা একটু চেষ্টা তিনিই করেছেন।

মোহামেডানের হয়ে রাসেল মাহমুদই যা একটু চেষ্টা করেছিলেন
প্রথম আলো

মেরিনার্সের কাছে এভাবে উড়ে গিয়ে কিছুটা হতভম্ব মোহামেডান। তবে সাদা–কালো শিবিরের আশা, এই ম্যাচের ফল সামনের ম্যাচগুলোতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কোচ শহীদুল্লাহ টিটু বলেছেন, ‘মেরিনার্সের কাছে ৫-১ গোলের হার অবশ্যই খারাপ ফল। আসলে বিদেশিরা কালই প্রথম এসেছে। ওরা দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। এসেই পরদিন মাঠে নেমেছে। দলের সঙ্গে ওদের কম্বিনেশন ঠিকঠাক হয়নি। আশা করি, এটা ঠিক হয়ে যাবে এবং ওরা সামনের ম্যাচগুলোয় ভালো খেলবে।’

আরও পড়ুন

বড় জয়েও মেরিনার্সের কোচ মামুন উর রশিদ পা রাখছেন মাটিতেই, ‘যেহেতু আগেই আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি, তাই আজ কোনো চাপ নিইনি। খেলোয়াড়দের বলেছি তোমরা উপভোগ করো। চাপ নেওয়ার কিছু নেই। আর এভাবে চাপমুক্ত হকি খেলেই আমরা বড় জয় পেয়েছি।’

এই ম্যাচ জিতে ‘এ’ গ্রুপের সেরা হয়ে সেমিফাইনালে উঠল মেরিনার্স। মোহামেডান গ্রুপের রানার্সআপ দল। অন্য গ্রুপ থেকে আবাহনী-ঊষা ম্যাচে জয়ী দলের বিপক্ষে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে মোহামেডান।