হকির ব্যর্থতা খতিয়ে দেখতে এনএসসির কমিটি
যে টুর্নামেন্টে গত চারবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ, সেই টুর্নামেন্টে কিনা এবার ফাইনালেই ওঠা যায়নি। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ৫-৪ গোলে ওমানের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে। ওমানের কাছে হারা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তা ছাড়া প্রতিবার চ্যাম্পিয়ন হতেই হবে—এমন বাধ্যবাধকতা নেই।
তবে জাকার্তায় গত ২৭ এপ্রিল শেষ হওয়া এশিয়ান হকি ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠতে না পারায় ৪৩ বছর পর এই প্রথম এশিয়া কাপ হকিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে খেলতে না পারা বাংলাদেশের হকির জন্য বিরাট ব্যর্থতাই।
কেন দেশের হকিতে এত বড় বিপর্যয় এসেছে, তা খতিয়ে দেখছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এ জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে আজ। তিনজনই এনএসসির কর্মকর্তা। তাঁরা হলেন পরিচালক, খেলাধুলা, তিনি কমিটির আহবায়ক। সদস্যসচিব, সহকারী পরিচালক, খেলাধুলা এবং সদস্য, এনএসসি চেয়ারম্যান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার একান্ত সচিব।
কমিটি গঠন প্রসঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হকির ব্যর্থতা খতিয়ে দেখবে কমিটি। তবে এটিকে তদন্ত কমিটি বলা যাবে না। এনএসসি মনে করে, ফেডারেশনগুলো স্বাধীন। তারা তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। তবে হকির এই ব্যর্থতা কেন, তা জানা দরকার। তাই এনএসসি সামনে কিছু করতে পারে কি না, উপদেশ দেওয়ার মতো কিছু আছে কি না, সেসবই দেখে প্রতিবেদন দেবে কমিটি।’
জাকার্তায় এবারও চ্যাম্পিয়ন হতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু যাওয়ার আগে খেলেনি কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ। বাংলাদেশ দল ভেবেছে, যাবে আর চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরবে আগের মতো। সে লক্ষ্যে গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচই জিতলেও বাংলাদেশকে ঘাম ঝরাতে হয়েছে দুটি ম্যাচে।
থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়ার মতো দলের সঙ্গে জিততে হয়েছে মাত্র ১ গোলের ব্যবধানে। তারপরও গ্রুপসেরা হয়ে সেমিতে উঠে সামনে পড়তে হয়েছে ওমানের, যারা ভালো প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিল ইন্দোনেশিয়ায়।
এশিয়ার দ্বিতীয় সারির দলগুলোর মধ্যে সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে ওমান। সেই ওমানই এবার বাংলাদেশের পথে কাঁটা বিছিয়েছে। আর ব্যর্থতা নিয়ে বাংলাদেশ দলকে ফিরতে হয়েছে দেশে।