তাঁদের চোখে বিশ্বকাপ
‘এখন আমি মরক্কোকে সমর্থন করছি’
বিশ্বকাপ ফুটবল ঘিরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে উন্মাদনার কমতি নেই। প্রিয় দল, প্রিয় ফুটবলারদের নিয়ে সবারই আছে আবেগ আর প্রত্যাশা। আছে বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক স্মৃতিও। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের বিশ্বকাপ–ভাবনা নিয়ে এই আয়োজন। আজ শুনুন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কথা—
প্রশ্ন :
বিশ্বকাপ তো প্রায় শেষের পথে। কেমন দেখছেন?
জামাল ভূঁইয়া: এটাই আমার দেখা সবচেয়ে রোমাঞ্চকর বিশ্বকাপ। বেশ কিছু কারণে এই বিশ্বকাপ আমার কাছে বিশেষ।
প্রশ্ন :
সেটা কেন?
জামাল: অনেক অঘটন ঘটছে। রোনালদো, নেইমার, সুয়ারেজ, হ্যাজার্ডের মতো বড় তারকারা বিদায় নিয়েছেন। মরক্কো সেমিফাইনালে উঠেছে, যা অবিশ্বাস্য। ওরা চ্যাম্পিয়নও হতে পারে।
গত কয়েকবার দেখা গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়ে। ইতালি, স্পেন, জার্মানির তেমন পরিণতি দেখেছি। তবে ফ্রান্স এখনো টিকে আছে।
প্রশ্ন :
আপনি কোন দলের সমর্থক?
জামাল: ডেনমার্কের। ফ্রান্স আর অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গ্রুপ পর্বে শেষ ডেনমার্কের দৌড়। আফ্রিকান দল মরক্কোকে এখন আমি সমর্থন করছি।
প্রশ্ন :
বিশ্বকাপ নিয়ে কোপেনহেগেনে আপনার বাড়িতে কেমন উন্মাদনা?
জামাল: সেখানে আমার পরিবারের সদস্যরা বেশ মজা করে বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখে। এখানে (ঢাকায়) আমার বাসায় ডেনমার্কের একটি পতাকা উড়িয়েছিলাম। তা দেখে একজন পুলিশ এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘এটা কোন দেশের পতাকা? কেন এই পতাকা উড়িয়েছেন?’
উনি জানতেন না যে এটা ডেনমার্কের পতাকা। তখন তাঁকে বুঝিয়ে বলি, এটা ডেনমার্কের পতাকা আর আমার জন্ম হয়েছে সেখানে। এরপর তাঁকে বাংলাদেশের একটা জার্সি উপহার দিলে, খুশি হয়ে চলে যান।
প্রশ্ন :
বিশ্বকাপ দেখার প্রথম স্মৃতি মনে আছে?
জামাল: ১৯৯৮ সালের ফ্রান্স বিশ্বকাপের কথা ভালোভাবে মনে আছে। সেবারই প্রথম মরক্কোর কথা জানতে পারি। গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের কাছে ৩ গোলে হেরেছিল মরক্কো। ওই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স।
প্রশ্ন :
কোন ফুটবলারের খেলা দেখে ভালো লেগেছিল?
জামাল: ১৯৯৮ বিশ্বকাপের জিনেদিন জিদানকে। ব্রাজিলের রোনালদো নাজারিওকে আমার ভালো লাগে।
প্রশ্ন :
কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে কারা?
জামাল: আর্জেন্টিনা বা ফ্রান্স।
প্রশ্ন :
সর্বোচ্চ গোলদাতা?
জামাল: এমবাপ্পে বা মেসির মধ্যে একজনের সম্ভাবনাই বেশি।