‘আম্মার জানাজা আমি নিজে পড়িয়েছি’

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক হয়েছেন। এর বাইরে ব্যবসা, চাকরি নিয়েও তাঁর ব্যস্ত জীবন। সাবেক এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান কথা বলেছেন তাঁর ছেলেবেলা, রাজশাহীর জীবন, পছন্দ–অপছন্দ, মায়ের সঙ্গে সখ্য ও জীবনের নানা দর্শন নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাহমুদুল হাসান

প্রশ্ন:

খেলোয়াড় ছিলেন, পরে চাকরি করছেন, ব্যবসাও আছে; এখন আবার বোর্ড পরিচালকও হলেন। এত ব্যস্ততা, বিরক্ত লাগে না?

খালেদ মাসুদ: একদমই না। আমি কাজ পছন্দ করি। এটাই আমার প্রথম ভালোবাসা। কারণ, যত আপনি কাজ করবেন, মানুষকে তত খুশি করতে পারবেন। আমার ভাবনাটা হচ্ছে যদি ১০ টাকা আয় করি, ২ টাকা সেবামূলক কাজে দিতে পারব। আল্লাহ সবাইকে সব রকম সুযোগ–সুবিধা দেয় না। কারও হয়তো মানসিক বা শারীরিক সমস্যা, চাইলেও কাজ করতে পারে না। যেহেতু আল্লাহ আমাকে এসব থেকে মুক্ত রেখেছেন, তাই মনে হয়, কেন মানুষের জন্য কাজ করব না?

প্রশ্ন:

তবু তো মাঝেমধ্যে অবসর আসেই। তখন সময়টা কীভাবে কাটান?

খালেদ মাসুদ: বন্ধুবান্ধব আছে, তাদের সঙ্গে আড্ডা দিই, খুব ভালো সময় কাটে। কিছু শখ আছে, সেসবও করার চেষ্টা করি।

অবসর সময়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দেন খালেদ মাসুদ
সৌজন্য ছবি
প্রশ্ন:

শখগুলো কেমন?

খালেদ মাসুদ: বেশির ভাগই কৃষিকেন্দ্রিক। গাছ লাগানো আমার খুব পছন্দের কাজ। কেউ যদি আমাকে একটা জায়গায় গাছ লাগাতে দেয়, সারা দিনই তা করতে পারব। শুধু একটু খালি জায়গা হলেই হলো। গাছ লাগাতে লাগাতে মাসের পর মাস কাটিয়ে দিতে পারব, কখনো ক্লান্তি আসবে না।

প্রশ্ন:

গাছ লাগানোর অভ্যাস কি ছোটবেলা থেকেই?

খালেদ মাসুদ: বলতে পারেন ৬–৭ বছর বয়স থেকেই। আমি রাজশাহীতে বড় হয়েছি। ছোটবেলায় বাড়ির পাশে অনেক জায়গা ছিল। সেখানে কোদাল দিয়ে খুঁড়ে ব্লেডের মতো বানিয়ে লালশাকের বিচি ছিটিয়ে দিয়েছিলাম। ১০–১২ দিন পর দেখা গেল, পুরোটা জায়গা লালশাকে ভরে গেছে। তখন থেকেই এই কাজগুলোতে মজা পেতে শুরু করেছি।

আরও পড়ুন
প্রশ্ন:

পরে এই অভ্যাস ধরে রেখেছিলেন?

খালেদ মাসুদ: একদম। স্কুলে যখন পড়তাম, একটা বিষয় ছিল কৃষিবিজ্ঞান। সেটাও আমি খুব মন দিয়ে পড়তাম। কীভাবে গাছের কলম করতে হয়, এসব শিখেছি পড়ে পড়ে। আমার বাড়ির পাশে পেয়ারা গাছ থেকে কলম করে আমার বাগানে লাগিয়েছি। যেখান থেকে যা পেয়েছি, সবই নিয়ে এসেছি। ধরুন কাঠাল খেয়েছি, বিচিটা রেখে দিতাম গাছ লাগানোর জন্য। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হলে তো আর হবে না, একটু শুকাতে হয়। এ জন্য বোতলে রাখতাম।

কৃষিকেন্দ্রিক কাজ খুবই পছন্দ করেন খালেদ মাসুদ
সৌজন্য ছবি
প্রশ্ন:

রাজশাহীতে তো আপনার একটা রেস্টুরেন্ট আছে, ওখানেও বোধ হয় গাছ দিয়েই সাজিয়েছেন…

খালেদ মাসুদ: হ্যাঁ, ‘নোঙর’ নামের ওই রেস্টুরেন্টের পুরো ভাবনাটাই আমার। মানুষ এসে নদীর পাশে বসে বাতাস খাবে, পাখি থাকবে, চা–কফি খাবে, সুন্দর একটা সময় কাটাবে; এটা মাথায় রেখেই করেছিলাম রেস্টুরেন্টটা। আগে ওটা একটা মরা জায়গা ছিল, বালু ছিল, নেশা করত সবাই এসে। ওখানে যত গাছ আছে, সবই আমার লাগানো। রাজশাহীতে গেলে ওখানে এখন মানুষ ছুটে যায়।

সম্প্রতি বিসিবির পরিচালক হয়েছেন খালেদ মাসুদ
ছবি: শামসুল হক
প্রশ্ন:

আপনার কি ছোটবেলায় কৃষক হওয়ার শখ ছিল?

খালেদ মাসুদ: ছোটবেলায় কোনো স্বপ্নই ছিল না। তখন খুব দুষ্ট ছিলাম, তবে ক্রিয়েটিভও ছিলাম। আমি যেটা করতাম, সিরিয়াসলি করতাম।

আরও পড়ুন
প্রশ্ন:

তাহলে ক্রিকেটার হলেন কীভাবে?

খালেদ মাসুদ: আমার আব্বারা ছিলেন সাত ভাই। আব্বা ঢাকা লিগে খেলেছেন ২০ বছর। আবাহনী–মোহামেডান–আজাদ স্পোর্টিংয়ের মতো বড় বড় ক্লাবে খেলেছেন। নামী পরিবারে বেড়ে উঠেছি, ওখান থেকে আলাদা কোনো অনুভূতি ছিল না বড় কিছু হওয়ার। ছোটবেলা থেকেই সবাইকে দেখে দেখে বেড়ে উঠেছি। আমি ছোটবেলায় সব খেলাই ভালো খেলতাম। আমার হাতে অনেক বিকল্প ছিল। যখন আস্তে আস্তে ক্রিকেটের দিকে চলে গেলাম, তখন আর ফুটবল বা অন্য কিছুর দিকে তাকাতে হয়নি। উইকেটকিপিং করছি, একটা ক্যাচ যেন না ছোটে। ব্যাটিং করছি, রান করতে হবে। ফিল্ডিং করছি, ভালো করতে হবে। যেটাই করব, সেটাই যেন ভালো হয়। যেটা করতাম, ওটার পেছনে অনেক মেহনত করতাম। এভাবেই জড়িয়ে যাওয়া।

রাজশাহীতে নিজের রেস্টুরেন্ট নোঙরের সামনে খালেদ মাসুদ
সৌজন্য ছবি
প্রশ্ন:

কিপার হয়ে উঠলেন কীভাবে?

খালেদ মাসুদ: আমি যখন কিপিং করেছি, তখন কিন্তু বাংলাদেশে কোনো কিপিং কোচ ছিল না। তখন এক–দুজন জেনারেল কোচ। কিপিং করতে করতে নিজেই শিখেছি সবকিছু। অনেকে বলে না—হ্যারিকেনের আলোয় পড়ে ব্যারিস্টার হয়েছে, আমারও কিন্তু অনেকটা ওরকম। কোচ ছাড়াই কিপার হয়ে গিয়েছিলাম।

প্রশ্ন:

কিপিং করতে গিয়ে নাকি একবার আপনার দাঁত পড়ে গিয়েছিল!

খালেদ মাসুদ: শ্রীলঙ্কায় খেলতে গিয়েছিলাম, তখন মনি ভাই (এনামুল হক মনি) বল করছিলেন। ব্যাটসম্যান বল করেছে সোজা, ব্যাটসম্যান মিস করছে, একদম সোজা আমার মুখে লেগেছে। নতুন বল, টাক করে লেগেছে, সঙ্গে সঙ্গে দুইটা দাঁত পড়ে গেছে। এখন নকল দাঁত লাগিয়েছি। ক্রিকেটে অবশ্য অনেক দুর্ঘটনাই ঘটতে পারে।

কোচ ছাড়াই কিপার হয়েছেন খালেদ মাসুদ
ছবি: এএফপি
প্রশ্ন:

আপনার রাজশাহী–প্রীতির কথাও তো খুব আলোচিত। সময় পেলেই তো মনে হয় রাজশাহী ছুটে যান...

খালেদ মাসুদ: হ্যাঁ, কেন্দ্রে থাকলে আপনি পুরো বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করতে পারবেন, এটা ঠিক। কিন্তু যদি সবাই নিজের নিজের এলাকা উন্নতি করি, তাহলে তো সব জায়গাই উন্নত হয়ে যাবে। আমরা সবাই যদি ঢাকায় চলে আসি, তাহলে নিজের এলাকা কে উন্নয়ন করবে?

আমি যখন খেলি, তখনই রাজশাহীতে একাডেমি করেছি। বিশেষ করে গরিব ছেলেদের সুযোগ করে দিতে চেয়েছি। সেখান থেকে অনেক ভালো খেলোয়াড় উঠে এসেছে। ওই ভাবনা থেকেই রাজশাহীতে আসা–যাওয়াটা কখনো থামাইনি।

আরও পড়ুন
প্রশ্ন:

রাজশাহীর জীবনটা বোধ হয় উপভোগও করেন খুব। এখনো যেকোনো আড্ডায় আপনাকে রাজশাহী নিয়ে বেশ উচ্চকণ্ঠই দেখা যায়!

খালেদ মাসুদ: আপনি কীভাবে বাঁচবেন, এটা ঠিক করতে হবে। নিউজিল্যান্ড–স্কটল্যান্ডের মানুষের মতো সুখী হবেন, নাকি নিউইয়র্কের মানুষের মতো শুধু অনেক টাকার মালিক হবেন। আমি জীবনটাকে খুব উপভোগ করতে চাই, রিল্যাক্স থাকতে চাই। রাজশাহী হচ্ছে নিরিবিলি, সবুজ; ঘুমানোর জন্য খুবই ভালো, মানুষজনের বেশি চাহিদা নাই, খুব বেশি জটিলতা নেই। এটা আমি খুব উপভোগ করি।

সময় পেলেই নিজ এলাকায় যান খালেদ মাসুদ
সৌজন্য ছবি
প্রশ্ন:

ঢাকায় কি একেবারেই অন্য রকম?

খালেদ মাসুদ: ঢাকায় এলে দেখি, মানুষ শুধু দৌড়াচ্ছে আর দৌড়াচ্ছে। এই যে একটা মানুষ ২২–২৩ বছর বয়সে চাকরি করতে শুরু করে, একেবারে ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি করে। মাঝখানে শুধু একটা বাচ্চাকে মানুষ করে। আর কিছুই দেখে না। আমি মধ্যবিত্তের কথা বলছি। তাঁরা শুধু ভাগছে আর ভাগছে; কিন্তু দুনিয়ার সুন্দর উপভোগ করতে পারছে না। শুধু মেশিনের মতো দৌড়ায়। আমি মেশিনের মতো দৌড়াই না, প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করি।

প্রশ্ন:

রাজশাহীতে তো আপনার আমবাগানও আছে, তাই না?

খালেদ মাসুদ: আছে। আমি আরও ১৭–১৮ বছর আগে বিভিন্ন জায়গায় মাছ ধরতে পুকুর খুঁজে বেড়িয়েছি। আমার মাছ ধরার অনেক শখ ছিল। ধরতাম, আবার ছেড়ে দিতাম। মাছ ধরতে গিয়ে আমি ধৈর্যের পরীক্ষা দিতাম। বসে থাকা, মাছ ধরছে না ধরছে না। খেলায়ও তো এমন হয়, হচ্ছে না, হচ্ছে না, হুট করে হয়ে যায়। ওই ভাবনা থেকেই ৫ বিঘা জমি কিনলাম, আড়াই বিঘার ওপর পুকুর। ওখানে আগে কেউ মাছ চাষ করত না। একটা গাছও ছিল না। বরেণ্য অঞ্চল, বাজে মাটি। আমার মাথায় এল—গাছ কেন হবে না? লোকজন বলল, না, এখানে পানি থাকবে না।

আমি ওখানে ছোট্ট ঘর বানালাম বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। পাইপ বসালাম। আমি অঙ্ক মেলালাম—পানি পাবে না জুন–জুলাইয়ে। পানির লাইন করে গাছ লাগালাম। ওখানে আবার ছোট গাছ লাগালে হয় না। গাছ যখন একটু বড় হয়ে যায়, তখন শিকড় পানি পায়। চারদিকে গাছ লাগিয়ে এখন জবরদস্ত হয়ে গেছে। এক বিঘা–দুই বিঘা করে কিনলাম।

রাজশাহীতে আমবাগানও আছে খালেদ মাসুদের
সৌজন্য ছবি
প্রশ্ন:

সব গাছ কি রাজশাহীরই?

খালেদ মাসুদ: নাহ। সিলেটে খেলতে গেছি, বাঁশগাছের গোড়া নিয়ে চলে এসেছি। সিলেটে চারদিকে দেখবেন বাসের ঝাড়। ঢাকায় যে বৃক্ষমেলা হয়, বেশির ভাগ দোকানদার আমাকে চেনে। আমি ধানমন্ডি থেকে ফুটবল খেলে ফিরে আসার সময় ওখানে যাই। ওরা তখন গাছ সাজায়, বেশির ভাগ নার্সারিই আমাকে চেনে। ওখান থেকে বেছে বেছে গাছ নিয়ে যাই রাজশাহীতে।

প্রশ্ন:

রাজশাহীর প্রতি টানের আরেকটা কারণ তো মনে হয় আপনার মা…

খালেদ মাসুদ: আব্বু–আম্মা দুজনই ছিলেন আমার জীবন। আব্বা ২০১৭ সালে মারা যান। তখন আমার মাথায় এল—জীবনটা তো শুধু দৌড়েই কাটালাম, এখন মা–বাবাকে সময় দেওয়া দরকার। আমি তো তাঁদের সময়ই দিলাম না। বেশির ভাগ সময় নিজের জন্যই ব্যয় করেছি। শুধু খেলেছি। তাঁরা কখনো বলেননি যে রাজশাহী আসো, কিন্তু ওখানে থাকলে তাঁরা খুশি হন। বাবা মারা যাওয়ার পর আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম, যেন আম্মাকে ভালোভাবে সময় দিতে পারি। উনি যখন পৃথিবী ছেড়ে যাবেন, তখন যেন গর্ব নিয়ে যান যে ভালো সন্তান জন্ম দিয়েছি।

প্রশ্ন:

এ বছরই তো আপনার মা মারা গেলেন…

খালেদ মাসুদ: হ্যাঁ। তবে আমার একটা তৃপ্তি আছে। আম্মার যখন শরীর খারাপ ছিল, তখন একটা নিয়ত ছিল আম্মার জানাজা আমি পড়াব। আল্লাহ তায়ালা আমাকে এই সামর্থ্য দিয়েছে। আমার আম্মার জানাজাটা আমি পড়িয়েছি। এ জন্য দোয়া–দরুদ সবকিছু ভালো করে জেনে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। ছেলে হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব ছিল, আম্মাকে আল্লাহর কাছে দিয়ে আসব। এটা ছোট্ট জিনিস, কিন্তু আমি মনে করি, সবারই এটা করা উচিত।

মা–বাবার সঙ্গে খালেদ মাসুদ
সৌজন্য ছবি
প্রশ্ন:

খাওয়া–দাওয়া কেমন পছন্দ করেন?

খালেদ মাসুদ: বাসায় রান্না করা পছন্দ করি। ঝাল–মসলা পছন্দ করি না। ছোটবেলা থেকেই আমি কাচ্চি বিরিয়ানি খাই না। দাওয়াত অ্যাভয়েড করি। গেলেও হালকা খাই। হয়তো কোনো বিয়েবাড়িতে গেলাম, টেবিলে বসে আড্ডা দিলাম। প্লেটে গাজর–শসা আর একটা চিকেন নিয়ে পোলাও না খেয়েই চলে আসি।

প্রশ্ন:

সিনেমা দেখেন বা গান শোনেন?

খালেদ মাসুদ: গান খুব কম শুনি। সিনেমা দেখি দুই ধরনের—মারামারি আর শিখতে পারব এমন কিছু। যেমন ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘তারে জামিন পার’। মানুষের কাছে যখন শুনি জবরদস্ত মুভি, তখন দুবার–তিনবার–চারবারও দেখি।

প্রশ্ন:

জীবনে বড় কোনো কিছু নিয়ে কি আফসোস আছে?

খালেদ মাসুদ: আফসোস তো সবার জীবনে থাকবে কমবেশি। পুরো দেশ নিয়েই একটু আফসোস আছে। মানুষ চমৎকার। কিন্তু আইন–বিচারব্যবস্থার কারণে এই দেশ খারাপ আছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ অনেক দেশের চেয়ে ভালো। শুধু সিস্টেমের কারণে ভালো কিছু হয় না। একই সঙ্গে ক্রিকেট আরও এগোয়নি, এটা নিয়েও আফসোস হয়।

প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠানে খালেদ মাসুদ
ছবি: শামসুল হক
প্রশ্ন:

কারও সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা আছে?

খালেদ মাসুদ: এসবের নিয়ে আমার আলাদা অনুভূতি নেই। লিওনেল মেসি এল বা শাহরুখ খান, হুড়মুড়িয়ে দেখতে হবে—এমন কিছু আমার মধ্যে নেই। ওনার স্কিলে উনি ভালো, কিন্তু দিনশেষে তো মানুষই। হয়তো তাঁকে অ্যাপ্রিশিয়েট করব। কিন্তু এ রকম না যে তাঁকে দেখার জন্য লাফ মারতে হবে ছাদ থেকে।