এমন ম্যাচে সাকিবের আরেকটি অনন্য রেকর্ড

আরেকটি রেকর্ড নিজের করে নিলেন সাকিব আল হাসানফাইল ছবি

হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়রের চোখে রোদচশমা ছিল, তবুও ডমিনিকার পড়ন্ত বিকালের রোদের মধ্যে বলটা হারিয়ে ফেললেন তিনি। ক্যাচ তো ফেললেনই, বলটা হয়ে গেল চার। ওয়ালশ ওই ক্যাচটা নিতে পারলে অন্তত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ডটা হতো না সাকিব আল হাসানের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ২ হাজার রান ও ১০০ উইকেটের ‘ডাবল’-এর কীর্তিটাও হয়তো আরেকটু ভালোভাবে উদ্‌যাপন করতে পারতেন তিনি!

ওয়ালশের ওই ক্যাচ মিসের পর ওবেদ ম্যাকয়কে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে মারা ছয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রান হয়ে গেছে সাকিবের। মাহমুদউল্লাহর পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এ কীর্তি হলো তাঁর। তবে ২ হাজার রানের সঙ্গে ১০০ উইকেটের ‘ডাবল’, এ কীর্তিতে বিশ্বের মধ্যেই সাকিব যে সবার আগে, সেটি অবশ্য বলা হয়েছে আগেই।

দিনটা শেষ পর্যন্ত এমন হতাশার মধ্যেই কেটেছে সাকিবের
ওয়ালটন

ম্যাকয়কে যখন সাকিব ওই ছয় মারলেন, ওই ওভারের প্রথম বলেই একটা ডাবলস নিয়ে অর্ধশতক পূর্ণ হয়েছে তাঁর। সে মাইলফলকে যেতে সাকিবের লেগেছে ৪৫ বল! এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নয় বার অর্ধশতক পেয়েছেন সাকিব, তবে কখনোই এত বল লাগেনি তাঁর। ক্যারিয়ারের মন্থরতম ফিফটি বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতাকেও আড়াল করতে পারেনি।

দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে লিটন দাস ফেরার পর নামেন সাকিব, ছিলেন একেবারে শেষ পর্যন্ত। মাঝে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৫৫ রানের পর মোসাদ্দেকের সঙ্গে শেষ দিকে আরেকটি জুটিতে যোগ করেন ৫৩ রান। তবে হাতটা খুলতে যেন একটু বেশিই সময় নিয়ে ফেলেন সাকিব। ফিফটির পর ৭ বলে করেন ১৮ রান, তবে তার আগেই তো পরাজয়টা শুধু সময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য!

আরও পড়ুন

সাকিবের এ ইনিংসটা তাই পার্থক্য গড়তে পারেনি কোনো। স্পষ্টতই উইকেট ধরে রাখার দায়িত্ব পালন করেছেন সাকিব, তবে ১৯৩ রান তাড়ায় তাঁর অমন ব্যাটিং দলীয় অ্যাপ্রোচের পাশেই বসে দিয়েছে আরেকটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন।

তবে সাকিব যে কীর্তি গড়েছেন, সেটি অবশ্য তাতে ম্লান হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের এই অনন্য ডাবলের সবচেয়ে কাছাকাছি ছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ—২৫১৪ রানের সঙ্গে ৬১টি উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘প্রফেসর’। এ বছরের শুরুতেই অবসর নিয়েছেন তিনি, ফলে সাকিবকে ছোঁয়ার প্রশ্নই উঠছে না।

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার রান ও ৫০ উইকেটের ‘ডাবল’ আছে সাকিব ও হাফিজ ছাড়া ৫ জনের—কেভিন ও’ব্রায়েন, শহীদ আফ্রিদি, ডোয়াইন ব্রাভো, মোহাম্মদ নবী ও থিসারা পেরেরা। এঁদের মধ্যে আফ্রিদি, ব্রাভো ও পেরেরাও অবসর নিয়েছেন, ও’ব্রায়েন সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে। এখন খেলছেন শুধু নবী, এ আফগানের রান ১৬২৮, উইকেট ৭৬টি।