টেস্টের পর টি-টোয়েন্টির রেকর্ডটিও এনামুলের

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়েই জাতীয় দলে ফিরেছেন এনামুলফাইল ছবি

২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর, মিরপুরে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই ম্যাচে তিনে নেমে এনামুল হক করেছিলেন ৫১ বলে ৪৭ রান। হয়েছিলেন রানআউট, বাংলাদেশ হেরেছিল ৩ উইকেটে।

২০২২ সালের ২ জুলাই, ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে যখন আরেকটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামলেন এনামুল, এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ খেলে ফেলেছে এ সংস্করণের ৭৯টি ম্যাচ।

দুটি টি-টোয়েন্টির মধ্যে সময় ও ম্যাচের হিসাবে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে দীর্ঘ বিরতির রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন এ ব্যাটসম্যান। বৃষ্টিবাধায় শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়া ম্যাচে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে এনামুল করেন ১০ বলে ১৬ রান

আরও পড়ুন

এনামুলের আগে বাংলাদেশিদের মধ্যে এ রেকর্ড ছিল আবুল হাসানের। ২০১২ সালে ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলার পর বাদ পড়েছিলেন এ পেসার, ২০১৮ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দেরাদুনে ফিরেছিলেন একটি ম্যাচের জন্য। এর মধ্যে বাংলাদেশের খেলা টি-টোয়েন্টির সংখ্যা ছিল ৫০।

টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচের হিসাবে বাংলাদেশের দীর্ঘতম বিরতি

দুটি ম্যাচ খেলার মাঝে দলের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ মিস করা—টি-টোয়েন্টিতে এর বিশ্ব রেকর্ডে এনামুল ছুঁয়ে ফেললেন তালিকার তিনে থাকা ইংল্যান্ডের জো ডেনলিকে। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির পর ডেনলি আরেকটি ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৮ সালের অক্টোবরে। এর মধ্যে ইংল্যান্ড খেলে ফেলেছিল ৭৯টি ম্যাচ।

আরও পড়ুন

এনামুল ও ডেনলির ওপরে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুজন। শীর্ষে আছেন ডেভন থমাস। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল এ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের, তবে দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল তিন বছরেরও বেশি সময়। সে দফা বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি ম্যাচের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন আরেকটি। তবে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিটি খেলার জন্য থমাসকে অপেক্ষা করতে হয় ৮ বছর ১০৩ দিন! ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে যখন নামলেন, এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলে ফেলেছে ১০২টি ম্যাচ! বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচটিও খেলেছেন তিনি, প্রায় ৬ মাসের বিরতির পর। থমাসের পর থাকা পেসার ফিডেল এডওয়ার্ডসের ক্ষেত্রে বিরতিটি ৮৫ ম্যাচের।

আরও পড়ুন

এনামুল এ সফরেই বাংলাদেশিদের মধ্যে টেস্টে সবচেয়ে লম্বা বিরতির রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটানো এনামুলকে প্রথমে রাখা হয়েছিল ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে। এরপর ইয়াসির আলীর চোটে ডেকে পাঠানো হয় টেস্ট দলে, সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্টে মাঠেও নামেন তিনি। তার আগে এনামুলের সর্বশেষ টেস্টটি ছিল ২০১৪ সালে, ওই মাঠেই।

এনামুলের আগে বাংলাদেশিদের মধ্যে টেস্টে রেকর্ডটি ছিল নাজমুল হোসেনের। ২০০৪ সালে অভিষেকের পর এ পেসার নিজের দ্বিতীয় টেস্টটি খেলেছিলেন ২০১১ সালে।