পাঁচ বছর পর ‘নতুন’ ভূমিকায় টেস্টে দেখা যেতে পারে ম্যাক্সওয়েলকে

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার টেস্টে দেখা যেতে পারে ম্যাক্সওয়েলকে, তবে 'নতুন' এক ভূমিকায়এএফপি

শুরুতে টেস্ট দলে ছিলেন না। ট্রাভিস হেডের চোটের শঙ্কায় ডেকে পাঠানো হলো। আগামীকাল থেকে গলে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে খেললে ভিন্ন এক ভূমিকাতেই দেখা যেতে পারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। ম্যাচ শুরুর আগের দিন প্যাট কামিন্স ইঙ্গিত দিয়েছেন, আট নম্বরে খেলানো হতে পারে ম্যাক্সওয়েলকে!

২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের পর আর এ সংস্করণে খেলেননি ম্যাক্সওয়েল। শুধু টেস্ট নয়, ২০১৯ সালের অক্টোবরের পর থেকে কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচই খেলেননি এ অলরাউন্ডার।

আরও পড়ুন

গলে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের জয়ের পরও দ্বিতীয় টেস্টে একাদশ ভিন্নভাবে সাজাতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম টেস্টে ২ ইনিংস মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা নিয়েছেন মাত্র ২ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে তো ৪ উইকেট পেয়েছিলেন এর আগে কখনোই উইকেটের দেখা না পাওয়া ট্রাভিস হেডও।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ সফরে সর্বশেষ টেস্টে দেখা গিয়েছিল ম্যাক্সওয়েলকে
এএফপি

ম্যাক্সওয়েলকে ভাবা হচ্ছে মূলত ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্কের জায়গায়। দলে থাকা স্বীকৃতি স্পিনার জন হল্যান্ডের আগে ম্যাক্সওয়েলকেই বিবেচনা করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। সে ক্ষেত্রে একমাত্র বিশেষজ্ঞ পেসার হিসেবে খেলবেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। সঙ্গে থাকবেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন। নাথান লায়ন, মিচেল সোয়েপসনের সঙ্গে ম্যাক্সওয়েলকে স্পিন বিভাগে ভালোভাবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

কামিন্স বলছেন, ওয়ানডে সিরিজে ম্যাক্সওয়েলের বোলিংয়ের কারণেই তাঁদের ভাবনায় আছেন তিনি, ‘ওয়ানডে সিরিজে সে সেরা বোলারদের একজন ছিল, দুর্দান্ত ছিল। অলরাউন্ড এক প্যাকেজ, বিশেষ করে বোলিংয়ে সহজেই তাকে দিয়ে ১৫-২০ ওভার বোলিং করাতে পারব।’

বোলিংয়ের পাশাপাশি ম্যাক্সওয়েলকে খেলানো হতে পারে আট নম্বরে, কামিন্স ইঙ্গিত দিয়েছেন সেটিও, ‘শেফিল্ড শিল্ডে যা খেলেছে, এর চেয়ে ভিন্ন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এটি। এর গতি আলাদা, উইকেট আলাদা। আমরা তার যে ভূমিকার কথা ভাবছি—একটু বোলিং, আট নম্বরে অতিরিক্ত একজন ব্যাটসম্যান যে খেলাটা সামনে নিতে পারবে। হয়তো সেঞ্চুরি করবে না, তবে দ্রুতগতির ৩০-৪০ রানের মূল্য অনেক হবে।’

আরও পড়ুন

গলের স্পিন-সহায়ক উইকেটে রানের মূল্য কতোটা, কামিন্সের কথাতেই স্পষ্ট সেটি। ম্যাক্সওয়েলের জন্য আট নম্বরে খেলাটা অবশ্য একেবারে নতুন নয়। ২০১৩ সালে হায়দরাবাদে অভিষেক টেস্টে ওই পজিশনেই খেলেছিলেন তিনি। মূলত সেবার তাঁকে খেলানো হয়েছিল তৃতীয় স্পিনার হিসেবেই।

আরও পড়ুন

তবে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত ৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে এত নিচে ব্যাটিং করেননি ম্যাক্সওয়েল, সর্বশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা চট্টগ্রাম টেস্টে নেমেছিলেন পাঁচ নম্বরে। সে দিক থেকে পাঁচ বছর পর আবার টেস্ট খেলার সুযোগ পেলে ম্যাক্সওয়েল খানিকটা ফিরে যাবেন অভিষেক টেস্টের ওই ভূমিকাতেই।

তবে সব কিছুই চূড়ান্ত হবে শুক্রবার, টেস্টের প্রথম দিনের সকালে। উইকেট সম্পর্কে কামিন্স বলেছেন, ‘গত সপ্তাহের চেয়ে আরেকটু শক্ত মনে হচ্ছে। একটু ঘাসও আছে। তবে সে সব তো কেটে ফেলা হচ্ছে।’