মাহমুদউল্লাহর ‘বিষয়’ অন্যভাবে দেখতে বলছেন তামিম
৬৯ বলে ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস, তবে তাতেও আছে ভাগ্যের সহায়তা। একবার বোল্ড হয়েও বেঁচে গেছেন নো বল হওয়াতে, আরেকবার রিভিউ নেওয়ার সুযোগ হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাহমুদউল্লাহ শেষ পর্যন্ত অবশ্য ম্যাচ শেষ করেই এসেছেন, জয়সূচক রানও এসেছে তাঁর ব্যাটেই। অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলছেন, মাহমুদউল্লাহ ম্যাচ শেষ করে আসাতেই তিনি খুশি। মাহমুদউল্লাহর বিষয়টি অন্যভাবে দেখা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহর এই ‘বিষয়’ মূলত তাঁর সাম্প্রতিক সময়ের ব্যাটিং-ই। টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন, তবে গত বছরের অক্টোবরের পর থেকে কোনো সংস্করণে অর্ধশতকের দেখা পাননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে অর্ধশতক পাওয়া ওই ম্যাচের পর ১৯ ইনিংসের মধ্যে গতকালের ম্যাচের ৪১ রানই মাহমুদউল্লাহর সর্বোচ্চ। এ সময়ের মধ্যে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৫ বার।
স্বাভাবিকভাবেই মাহমুদউল্লাহর ফর্মের প্রসঙ্গটি আসে আলোচনায়। তবে এ সময়ে, বিশেষ করে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলীর অনুপস্থিতিতে মাহমুদউল্লাহর এমন ইনিংসের গুরুত্ব অনেক বলে মনে করেন তামিম।
প্রথম ওয়ানডে শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেছেন, ‘৩, ৪, ৫ নম্বর ব্যাটসম্যান ছিল না... (ইয়াসির) রাব্বী সহ। (তারা) ছিল না দলে। এই তিন জন খেলোয়াড় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ ভাইয়ের জন্য ২৫–৩০ রানও অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এক–দুটি ব্যর্থতার পর আমরা যখন পেছন ফিরে তাকাই তখন শুধু ২৫ রান, ২৮ রান দেখি। কিন্তু ওই ২৫, ২৮ রানের গুরুত্ব অনেক বেশি থাকে।’
এ সফরের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রসঙ্গ টেনে তামিম বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার তিনটি ওয়ানডের কথা যদি মনে করেন ওখানে ওনার সুযোগই ছিল না বড় ইনিংস খেলার। এ জন্য আমি মনে করি ওনার বিষয়টা একটু অন্যভাবে দেখা উচিত। কারণ ওনার কাজটা কখনোই প্রশংসা পায় না।’
মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ের ‘খারাপ দিক’ই তুলে ধরা হয়, এমন মনে করেন তামিম, ‘এক-দুই ম্যাচে খারাপ করলে ওই জিনিসগুলোই আমরা তুলে ধরি। এই দিক থেকে যদি আমরা সবাই একটু শিখি তাহলে ওনার ওপর চাপটা কমে যাবে। আমি খুশি যে তিনি খেলা শেষ করে এসেছেন।’