tbcampaign health olympiard tbcampaign health olympiard

যক্ষ্মা রোগের বিস্তার রোধ ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ইউএসএআইডির পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালনায় (আইসিডিডিআর’বি) প্রথম আলো যক্ষ্মা সচেতনতাবিষয়ক প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে। এই আয়োজনে সহায়তা করবেন স্থানীয় বন্ধুসভার বন্ধুরা। এই প্রচারণা রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মোট ১২টি জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলো হলো—রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও জয়পুরহাট এবং রংপুর বিভাগের জেলাগুলো হলো—রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম।

যক্ষ্মা সম্পর্কিত সচেতনতামূলক তথ্য

আঞ্চলিক স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াডের সময়সূচি

ক্রম জেলার নাম তারিখ বার ভেন্যু
কুড়িগ্রাম ৩০ মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়াম, কুড়িগ্রাম সদর, কুড়িগ্রাম
দিনাজপুর ৩১ মে ২০২৪ শুক্রবার দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
নাটোর ৩১ মে ২০২৪ শুক্রবার নবাব সিরাজ উদ্ দৌলা সরকারি কলেজ অডিটোরিয়াম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩১ মে ২০২৪ শুক্রবার নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ
জয়পুরহাট ৩১ মে ২০২৪ শুক্রবার কালেক্টরেট বালিকা বিদ্যানিকেতনের হল রুম
রংপুর ৭ জুন ২০২৪ শুক্রবার রংপুর জিলা স্কুল মিলনায়তন
নীলফামারী ৭ জুন ২০২৪ শুক্রবার নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
নওগাঁ ৭ জুন ২০২৪ শুক্রবার নওগাঁ কৃষ্ণধন (কেডি) সরকারি উচ্চবিদ্যালয়
বগুড়া ৭ জুন ২০২৪ শুক্রবার পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া
১০ সিরাজগঞ্জ ২৮ জুন ২০২৪ শুক্রবার সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ মিলনায়তন
১১ পাবনা ২৮ জুন ২০২৪ শুক্রবার সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুল, পাবনা
১২ রাজশাহী ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শুক্রবার অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়

দিনব্যাপী আঞ্চলিক কর্মশালা

জেলার নাম তারিখ ভেন্যু
দিনাজপুর ২ আগস্ট ২০২৩ প্রথম আলো অফিস, একাডেমি স্কুল গলি, গনেশতলা, সদর দিনাজপুর
নাটোর ৪ আগস্ট ২০২৩ ২য় তলা, খাওয়া দাওয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট,বাটারগলি, আলাইপুর, নাটোর
সিরাজগঞ্জ ৪ আগস্ট ২০২৩ জ্ঞানদায়িনী উচ্চ বিদ্যালয়, মুজিব সড়ক, সিরাজগঞ্জ সদর
নওগাঁ ৫ আগস্ট ২০২৩ সভাকক্ষ, মৌসুমি এনজিও, প্রধান কার্যালয়, উকিল পাড়া, নঁওগা
জয়পুরহাট ৬ আগস্ট ২০২৩ সভাকক্ষ, সিভিল সার্জন কার্যালয়, জয়পুরহাট
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৬ আগস্ট ২০২৩ সাধারণ পাঠাগার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
রংপুর ৬ আগস্ট ২০২৩ সম্পা ভিউ, বাড়ি- ৫৬/১, রোড-১, মুন্সিপাড়া, রংপুর
নীলফামারী ৮ আগস্ট ২০২৩ আখতার হাবিব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইউএসএস, জোড়দরগা, নীলফামারী
রাজশাহী ৯ আগস্ট ২০২৩ সভাকক্ষ, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, রাজশাহী
বগুড়া ৯ আগস্ট ২০২৩ সভাকক্ষ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়, বগুড়া সদর
পাবনা ১০ আগস্ট ২০২৩ প্রেসক্লাব মিলনায়তন, পাবনা
কুড়িগ্রাম ১০ আগস্ট ২০২৩ প্রগতি সংসদ, কুড়িগ্রাম

আবাসিক কর্মশালা

শিরোনাম তারিখ ভেন্যু
ঢাকায় তিন দিনব্যাপী আবাসিক কর্মশালা ২২-২৪ জুন ২০২৩ আপন উদ্যোগ ফাউন্ডেশন, লালমাটিয়া, ঢাকা

যক্ষ্মা-সম্পর্কিত নির্দেশিকা

১) ভূমিকা:

যক্ষ্মা (টিবি) একটি অতি পুরোনো সংক্রামক ব্যাধি। এই রোগে আক্রান্ত হলে সঠিক সময়ে নির্ণয় করা ও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, না করলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশের মতো যক্ষ্মা বাংলাদেশেও অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, যেসব দেশ যক্ষ্মা ও ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগের ক্ষেত্রে উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। তবে কোভিড মহামারির বাস্তবতার মধ্যেও স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি যক্ষ্মা মোকাবিলায় সাফল্যের সাথে সার্বিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

১৯৯৩ সালে Directly Observed Treatment Short Course (DOTS) Strategy-এর মাধ্যমে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরম্ভ করার পর থেকে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি রোগনির্ণয় ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। তারপরও দেশের আনাচকানাচে অনেক রোগী আছে বলে অনুমান করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩,৭৫,০০০ লোক যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয় এবং এই কারণে প্রায় ৪২,০০০ লোক মৃত্যুবরণ করে। যক্ষ্মা রোগের বিস্তার রোধ ও নিয়ন্ত্রণকল্পে সময়মতো রোগ শনাক্ত করে পূর্ণ মেয়াদে সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি।

এ ব্যাপারে প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা, যক্ষ্মা থেকে আরোগ্য লাভকারী রোগী বা অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক তৃণমূল পর্যায়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ, সন্দেহভাজন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য/ডটস কেন্দ্রে প্রেরণ ও শনাক্তকৃত যক্ষ্মা রোগীদের ওষুধ সেবনে সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।

এ কথা ভেবেই ছাত্রছাত্রী এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকের জন্য এই প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা রচিত হয়েছে, যা তৃণমূল পর্যায়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে সময়মতো যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।

২) বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগের অবস্থা:

সরাসরি তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে যক্ষ্মার চিকিৎসা হচ্ছে সর্বাধিক কার্যকর পদ্ধতি।

—বাংলাদেশে প্রতিবছর আনুমানকি ৩,৭৫,০০০ লোক নতুনভাবে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয় এবং যক্ষ্মার কারণে প্রায় ৪২,০০০ লোকের মৃত্যু ঘটে।
—২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূল করার লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন। বর্তমানে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সব যক্ষ্মা রোগীর জন্য গুণগত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় সম্মিলিত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

৩) জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি:

যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্পূর্ণ করতে ছাত্রছাত্রী, যক্ষ্মায় অরোগ্য লাগকারী রোগী, অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ১৯৯৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রথমে দুটি জেলার চারটি উপজেলায় পরীক্ষামূলক কর্মসূচি শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে ক্রমান্নয়ে দেশের সব উপজেলা ও সিটি করপোরেশনে এই কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের সব উপজেলা, পৌরসভা, মেট্রোপলিটন এলাকা, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পুলিশ ও মিলিটারি হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

৪) যক্ষ্মা রোগ ও এর প্রতিরোধ:

৪.১) যক্ষ্মা রোগ কী?

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ১৯৯৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রথমে দুটি জেলার চারটি উপজেলায় পরীক্ষামূলক কর্মসূচি শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে ক্রমান্নয়ে দেশের সব উপজেলা ও সিটি করপোরেশনে এই কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের সব উপজেলা, পৌরসভা, মেট্রোপলিটন এলাকা, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পুলিশ ও মিলিটারি হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

যক্ষ্মা একটি জীবাণুঘটিত রোগ, যা মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস (বা যক্ষ্মা জীবাণু) নামক জীবাণু দিয়ে হয়। যক্ষ্মা একটি বায়ুবাহিত রোগ এবং হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকে। যক্ষ্মা প্রধানত ফুসফুসে হয়। তবে ফুসফুস ছাড়াও শরীরের অন্যান্য অঙ্গ বা স্থানে হতে পারে।

  • সংক্রমণের স্থান অনুযায়ী যক্ষ্মা দুই প্রকার। যেমন:
    ক) Pulmonary TB বা ফুসফুসের যক্ষ্মা এবং
    খ) Extra-Pulmonary TB বা ফুসফুসবহির্ভূত যক্ষ্মা। ফুসফুসে আক্রান্ত যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক, যা পুরো যক্ষ্মা রোগের ৮০% থেকে ৮৫%।
  • কফে অথবা সংগৃহীত যেকোনো নমুনায় জীবাণু প্রাপ্যতার ওপর নির্ভর করে যক্ষ্মা দুই প্রকার। যথা:
    ক) Bacteriological positive TB (জীবাণুযুক্ত যক্ষ্মা): এ ধরনের যক্ষ্মা রোগীদের কফে অথবা সংগৃহীত যেকোনো নমুনায় যক্ষ্মার জীবাণু পাওয়া যায়।
    খ) Clinically Diagnosed TB (ক্লিনিক্যালি ডায়াগনজড যক্ষ্মা): এ ধরনের যক্ষ্মা রোগীদের কফে অথবা সংগৃহীত অন্য কোনো নমুনায় যক্ষ্মার জীবাণু পাওয়া যায় না। সাধারণত রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, রোগের ইতিহাস এবং অন্যান্য পরীক্ষা (যেমন এক্স-রে ইত্যাদি) করে একজন ডাক্তার যক্ষ্মা রোগ শনাক্ত করেন।
৪.২) যক্ষ্মা রোগের বিস্তার ও ভয়াবহতা:

যক্ষ্মা একটি সংক্রামক ও জীবাণুবাহিত রোগ। এ রোগের জীবাণু আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বের হয়ে বাতাসে মেশে। যেসব যক্ষ্মা রোগীর কফে যক্ষ্মার জীবাণু পাওয়া যায়, সেসব যক্ষ্মা রোগীর কফ, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগের জীবাণু বের হয়ে বাতাসে মেশে ও শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে তা সুস্থ ব্যক্তির ফুসফুসে ঢুকে বংশবৃদ্ধি করে। একজন যক্ষ্মা রোগী চিকিৎসা ছাড়া বছরে ১০ জন সুস্থ লোককে আক্রান্ত করতে পারে। এভাবে সে তার পরিবারের সদস্য ও আশপাশের ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগ ছড়াতে পারে।

৪.৩) যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ কী?

—একনাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার অধিক সময়ব্যাপী কাশি, যা সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে নিরাময় হয় না।
—জ্বর
একজন যক্ষ্মা রোগী বছরে ১০ জন সুস্থ ব্যক্তিকে সংক্রমণ করতে পারে। —বুকে ব্যথা
—খাবারে অরুচি
—শ্বাসকষ্ট
—ওজন কমে যাওয়া
—এ ছাড়া গলায় বা ঘাড়ে যেকোনো ধরনের গুটলি, পিঠে হাড় উঁচু হওয়া বা বেঁকে যাওয়া ইত্যাদিও ফুসফুসবহির্ভূত যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে ওপরে বর্ণিত লক্ষণগুলোর মধ্যে শুধু দুই সপ্তাহ বা তার অধিক সময়ব্যাপী কাশি থাকলেই কোনো ব্যক্তিকে যক্ষ্মা রোগী বলে সন্দেহ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য নিকটস্থ উপজেলা হাসপাতাল বা বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে অথবা এনজিও ক্লিনিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতে প্রেরণ করতে হবে।

শিশুদের যক্ষ্মা:

বড়দের মতো শিশুদেরও যক্ষ্মা হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর এ দেশে যক্ষ্মা প্রাদুর্ভাবের হার প্রতি লাখে ২২১ জন এবং সর্বমোট ৩ লাখ ৭৫ হাজারের মতো মানুষ যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয় বলে ধারণা করা হয়। তাদের মধ্যে ৩০ হাজারের মতো শিশু রয়েছে। যদিও শিশুদের যক্ষ্মার (Child TB) হার মোট যক্ষ্মা রোগীর প্রায় ১০ শতাংশ হওয়া উচিত, বাংলাদেশে যক্ষ্মা শনাক্তের হার মাত্র ৩ শতাংশ। শিশুদের মধ্যে যক্ষ্মা নির্ণয় জটিল হয়ে থাকে। কারণ, শিশুদের মধ্যে যক্ষ্মার নির্দিষ্ট লক্ষণগুলো স্পষ্ট থাকে না।

শিশুদের যক্ষ্মার লক্ষণগুলো কী:

  • দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি
  • দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জ্বর
  • অপুষ্টি (Severe acute malnutrition) এবং শরীরের ওজন হ্রাস
  • খেলাধুলা কম করা ও স্বতঃস্ফূর্ত ভাব কমে যাওয়া
  • ঘাড়ে বা গলায় কোনো গুটি

শিশুদের মধ্যে এই পাঁচটি উপসর্গের যেকোনো একটি পাওয়া গেলেই শিশুটির যক্ষ্মা আছে কি না, সন্দেহ করা যেতে পারে এবং পরীক্ষার জন্য ডাক্তারের কাছে প্রেরণ করতে হবে। এ ছাড়া শিশুটি যদি কোনো যক্ষ্মা রোগীর সংস্পর্শে থাকে, তাহলে তাকেও পরীক্ষার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে প্রেরণ করতে হবে।

ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা:

যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসায় সাধারণত ব্যবহৃত এক বা একাধিক ওষুধের প্রতি যদি যক্ষ্মা জীবাণু প্রতিরোধী হয়, তবে তাকে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা বা ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি (DR TB) বলে। সাধারণ যক্ষ্মার তুলনায় ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা আরও মারাত্মক হয় এবং এসব রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তা ছাড়া ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল হয়। সাধারণত যারা ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার চিকিৎসায় অনিয়ম করে অথবা যারা ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগীর সংস্পর্শে থাকে, তাদের যক্ষ্মা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০২২ সালে আনুমানিক ৪,৫০০ জন ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ ও লক্ষণ সাধারণ যক্ষ্মা রোগের মতোই। কারও মধ্যে যক্ষ্মার উপসর্গ থাকলে তাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য নিকটস্থ উপজেলা হাসপাতাল বা বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে অথবা এনজিও ক্লিনিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতে প্রেরণ করতে হবে।যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসায় সাধারণত ব্যবহৃত এক বা একাধিক ওষুধের প্রতি যদি যক্ষ্মা জীবাণু প্রতিরোধী হয়, তবে তাকে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা বা ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি (DR TB) বলে। সাধারণ যক্ষ্মার তুলনায় ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা আরও মারাত্মক হয় এবং এসব রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তা ছাড়া ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল হয়। সাধারণত যারা ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার চিকিৎসায় অনিয়ম করে অথবা যারা ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগীর সংস্পর্শে থাকে, তাদের যক্ষ্মা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০২২ সালে আনুমানিক ৪,৫০০ জন ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ ও লক্ষণ সাধারণ যক্ষ্মা রোগের মতোই। কারও মধ্যে যক্ষ্মার উপসর্গ থাকলে তাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য নিকটস্থ উপজেলা হাসপাতাল বা বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে অথবা এনজিও ক্লিনিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতে প্রেরণ করতে হবে।

যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়:

যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ বা লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলো করে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় করা হয়:

  1. জিন এক্সপার্ট (Gene Xpert)
  2. কফ পরীক্ষা (Sputum smear microscopy)
  3. কালচার/ডিএসটি (Culture/DST)
  4. বুকের এক্স-রে (Chest X-ray)
  5. মনটো টেস্ট (Mountox Test)
  6. ফাইন নিডল অ্যাস্পাইরেশন সাইটোলজি (Fine Needle Aspiration Cytology)
  7. হিস্টোপ্যাথলজি (Histopathology)

রোগীর শারীরিক পরীক্ষা এবং উপরিউক্ত পরীক্ষাগুলোর ফলাফল বিবেচেনা করে ডাক্তার রোগ নির্ণয় করে থাকেন।

৪.৪) যক্ষ্মার চিকিৎসা:

যক্ষ্মার চিকিৎসা একটি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা। যেটা দুটি ধাপে মোট ৬ মাস ধরে দেওয়া হয়:

  • প্রথম ধাপ—ইনটেন্সিভ ফেজ: ৪টি ওষুধের সমন্বয়ে 4 FDC দিয়ে ২ মাস
  • দ্বিতীয় ধাপ—কন্টিনিউয়েশন ফেজ: ২টি ওষুধের সমন্বয়ে 2 FDC দিয়ে ৪ মাস

প্রতিটি উপজেলা হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বক্ষব্যাধি ক্লিনিক এবং নির্দিষ্ট এনজিও ক্লিনিকে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে যক্ষ্মা রোগের পরীক্ষা ও চিকিৎসা পাওয়া যায়। নিয়মিত, সঠিক মাত্রায় , ক্রমাগত ও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগ সম্পূর্ণভাবে ভালো হয়। অনিয়মিত, অপর্যাপ্ত এবং অসম্পূর্ণ চিকিৎসায় যক্ষ্মা রোগ জটিল আকার ধারণ করে এবং পরবর্তী সময়ে নিয়মিত ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা করলেও রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।

যক্ষ্মার ওষুধের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

যক্ষ্মার ওষুধের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে রোগীকে ধারণা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে রোগী ওষুধ সেবন বন্ধ করে দিতে পারে। অপর দিকে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে রোগী ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণে উৎসাহিত না–ও হতে পারে, যার কারণে শারীরিক অবস্থা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মৃদু হয়, যেমন বমি বমি ভাব, কমলা বা লাল রঙের প্রস্রাব, গিরায় ব্যথা, পেট ফেঁপে যাওয়া ইত্যাদি। এসবের কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, রোগীকে আশ্বস্ত করাই যথেষ্ট। মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুরুতর আকার ধারণ করলে, যেমন মাথা ঘোরানো, কানে ঝিনঝিন শব্দ হওয়া, চামড়ায় ফুসকুড়ি, চুলকানি, অবিরত বমি, চোখে ঝাপসা দেখা, চামড়া ও চোখে হলুদ রং বা জন্ডিস—এসব ক্ষেত্রে রোগীকে অবশ্যই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

৪.৫) যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধ:

Household contacts: যাঁরা Index case-এর সাথে একই ঘরে থাকে ও যাদের রান্না একই হাঁড়িতে হয় এবং Index case-এর চিকিৎসা শুরুর পূর্বের তিন মাস সময়কালের মধ্যে Index case-এর সাথে এক বা একাধিক রাত বা দিনের লম্বা সময় একসাথে কাটিয়েছেন।

Close Contact: যারা Index case-এর সাথে একই ঘরে থাকে না এবং যাদের রান্না এক হাঁড়িতে হয় না, কিন্তু Index case-এর সাথে চিকিৎসা শুরুর পূর্বে ৩ মাস সময়কালের মধ্যে Index case-এর সাথে এক বা একাধিক রাত বা দিনের লম্বা সময় একসাথে কাটিয়েছেন।
যেহেতু যক্ষ্মা একটি সংক্রামক রোগ, তাই এর প্রতিরোধব্যবস্থা জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির একটি অপরিহার্য শর্ত। এ ক্ষেত্রে যেসব পদক্ষেপ অনুসরণযোগ্য:
—রোগের সম্ভাব্য লক্ষণ প্রকাশ পেলে ডাক্তার/স্বাস্থ্যসেবিকা/স্বাস্থ্যকর্মী/স্বেচ্ছাসেবকদের পরামর্শ নেওয়া।
—রোগ শনাক্ত হলে অবিলম্বে চিকিৎসা শুরু করা এবং নিয়মিত, সঠিক মাত্রায়, ক্রমাগতভাবে ও পূর্ণ মেয়াদে ওষুধ সেবন করা।
—রোগীর কফ, থুতু নিদিষ্ট পাত্রে ফেলা ও পরে তা পুঁতে বা পুড়িয়ে ফেলা।
—হাঁচি–কাশির সময় রুমাল বা কাপড় ব্যবহার করা।
—পরিবারের একজন রোগী হলে এবং পরিবারের অন্যদের যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ থাকলে তাদের কফ পরীক্ষা করানো।
—জন্মের পর শিশুকে বিসিজি টিকা দেওয়া।

এ ছাড়া অনেক সময় যক্ষ্মার জীবাণু মানুষের শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকে এবং মানুষের শরীরে এর উপসর্গ প্রকাশিত হয় না। বছরের পর বছর যক্ষ্মার জীবাণু শরীরে সুপ্ত অবস্থায় বেঁচে থাকতে পারে এবং পরবর্তী সময়ে কোনো এক নাজুক সময় এই সুপ্ত যক্ষ্মা শরীরে সক্রিয় যক্ষ্মা রোগে রূপ নিতে পারে। আর তখনই সব উপসর্গ ও জটিলতা দেখা যায়। এই সুপ্ত যক্ষ্মার নাম লেটেন্ট টিবি (Latent TB)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, সারা পৃথিবীতে প্রায় ২৩% মানুষের মধ্যে লেটেন্ট টিবি থাকে। এই লেটেন্ট টিবি মোকাবিলা করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) যক্ষ্মা প্রতিরোধী টিপিটি—টিবি প্রিভেন্টিভ ট্রিটমেন্ট (TPT—TB Preventive Treatment) প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে। সেই সাথে দেশে যক্ষ্মার সংক্রমণের হার দ্রুত কমানোর লক্ষ্যে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সাম্প্রতিক সময়ে টিপিটি প্রয়োগ শুরু করেছে। যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, এমন মানুষদের টিপিটি দেওয়া হয়।

কফে জীবাণুযুক্ত ফুসফুসীয় যক্ষ্মা রোগীর সংস্পর্শে আসা ও যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, এমন মানুষদের এবং এইচআইভিতে আক্রান্তদের মূলত টিপিটি প্রদানের জন্য বিবেচনা করা হয়। কফে জীবাণুযুক্ত ফুসফুসীয় যক্ষ্মা রোগীকে এখানে Index case হিসেবে গণ্য করা হয়। টিপিটি প্রদানের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে Index case-এর বাড়ি পরিদর্শন করে তার সংর্স্পশে আসা মানুষদের Contact Investigation করতে Household contacts/Close contacts–দের মূলত Investigation করতে হবে। Contacts-দের মধ্যে সক্রিয় যক্ষ্মা রোগীদের ((Active TB case) বাদ দিয়ে বাকি যাদের মধ্যে যক্ষ্মার জীবাণু (TB infection) লক্ষণ ছাড়া সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে তাদের টিপিটি প্রদান করতে হবে।

৫) যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে আপনার ভূমিকা:

দেশের যক্ষ্মা মোকাবিলায় আপনিও রাখতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি:

যেহেতু যক্ষ্মা রোগীরা আমাদের সমাজেরই একটি অংশ, তারা যে আমাদের সমাজবহির্ভূত না, সেই বিষয়ে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের ছাত্র-ছাত্রী, তরুণ-বৃদ্ধ, জনপ্রতিনিধি কিংবা যক্ষ্মা থেকে আরোগ্যলাভ করেছেন এমন ব্যক্তিত্ব যক্ষ্মাবিষয়ক সামাজিক সচেতনতা, যেমন যক্ষ্মা রোগের প্রাথমিক ও প্রধান লক্ষণ, বিনা মূল্যে উপজেলা হাসপাতাল, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক ও নির্দিষ্ট এনজিও ক্লিনিকে চিকিৎসাব্যবস্থা, নিয়মিত/ক্রমাগত/পূর্ণ মেয়াদে ওষুধ সেবনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে বাংলাদেশের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

যক্ষ্মা–সম্পর্কিত নিম্নলিখিত তথ্য সরবরাহ করা যেতে পারে:
ক) যক্ষ্মা রোগ কীভাবে ছড়ায়
খ) যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ
গ) যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা/পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ঘ) যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধের উপায়

রোগীকে চিকিৎসাকালীন সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান:

যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য চিকিৎসার তুলনায় একটি দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি, যে কারণে রোগী এই দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে অনীহা প্রকাশ করতে পারে। তা ছাড়া ওষুধের বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে রোগী চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্য/স্বেচ্ছাসেবকেরা নিয়মিত ও পূর্ণ মেয়াদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে গুরুত্বপৃর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

দ্রুত ওষুধের পার্শ্বপ্রতক্রিয়িা চিহ্নিতকরণ/হাসপাতালে রেফার করা:

যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসায় ওষুধের মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া একটি সাধারণ সমস্যা, যা চিকিৎসা ছাড়াই রোগী আরোগ্য লাভ করে। কিন্তু সঠিক তথ্যের অভাবে বা অজ্ঞতার জন্য মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে রোগী ওষুধ গ্রহণ বন্ধ করে দিতে পারে। অপর দিকে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে রোগীর দেহে নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে এবং দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ ও চিকিৎসা জরুরি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রী এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সময় রোগীকে আশ্বস্ত ও সঠিক পরামর্শ দিয়ে তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।