করোনা উন্নয়নে বাধা হতে পারেনি ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নের কারণে করোনাভাইরাস মহামারি দেশের উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে পারেনি। তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত শক্তিশালী হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপতি।

আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের সপ্তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। ‘সোশ্যালি ডিসট্যান্স, ডিজিটালি কানেকটেড’—এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের এবারের আসর রাষ্ট্রপতি উদ্বোধন করেন।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘করোনা মহামারি আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত করলেও থামিয়ে দিতে পারেনি। এর কারণ ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন।’ মহামারির মধ্যেও ই-কমার্সের মাধ্যমে ঘরে বসে কেনাবেচা করা, অনলাইন শিক্ষা, ভার্চ্যুয়াল আদালতের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম, টেলিমেডিসিন সেবাসহ বিভিন্ন অনলাইন সেবা জীবনযাত্রাকে সহজ করে দিয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপতি। এ ছাড়া তিনি বলেন, ই-নথি ব্যবস্থা সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়িয়েছে এবং নাগরিকের কাছে সেবা পৌঁছানোও সহজ হয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে অন্যান্য খাতে চাকরির সুযোগ কমে এলেও ফ্রিল্যান্সিংয়ের কারণে অসংখ্য তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। বর্তমানে দেশে সাড়ে ছয় লাখ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং পেশায় পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও যাতে সমানতালে এগিয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারেও উদ্যোগী হওয়ার কথা বলেন।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নিয়মিত গবেষণা ও মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টিতে আরও মনোযোগী হওয়ার জন্য বলেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের রোডম্যাপ ঘোষণার ১০ বছর পর সরকারের ‘আমার গ্রাম-আমার শহর, সুশাসন ও তারুণ্যের শক্তি’—এই তিন উন্নয়ন কর্মসূচির কারণে ডিজিটাল বিপ্লবের বাস্তবায়ন আরও গতিশীল হয়েছে।

উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী পরিচিত উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, সব ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির বাস্তবায়ন ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিতকে আরও শক্তিশালী করেছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদেরর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির প্রমুখ।