ভবিষ্যতে কী হবে ভাবে না যে - অপরিণামদর্শী

এক কথায় প্রকাশ  অংশ-৪
প্রিয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থী, বাংলা বিষয়ে ১১ নং প্রশ্নটি থাকবে এক কথায় প্রকাশের ওপর। নিচে গুরুত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশ দেওয়া হলো।

ফ
ফেলা যায় যা ফেলনা।
ফাঁস দিয়ে মানুষ মারে যে ফাঁসুড়ে।
ফুল হতে তৈরি বা উৎপন্ন যা ফুলেল।

ব
বয়সের তুল্য বয়স্য।
বলার ইচ্ছা বিবক্ষা।
বমন করার ইচ্ছা বিবমিষা।
বালকের অহিত (হিতকর নয়) যা বালাই।
বহুর মধ্যে একজন শ্রেষ্ঠ।
ব্যাঙের ছানা ব্যাঙাচি।
বেশি ধন-সম্পত্তি আছে যার ধনাঢ্য।
বেশি শীতও নয় বেশি গরমও নয় নাতিশীতোষ্ণ।
বেশি কথা বলে যে বাচাল।
বেশি কথা বলেন না যিনি মিতভাষী।
বন্দোবস্ত নেই যেখানে বেবন্দোবস্ত।
বাক্য ও মনের অগোচর অবাঙমানসগোচর।
বালক থেকে আরম্ভ করে বৃদ্ধ ও
স্ত্রীলোক সবাই আবালবৃদ্ধবনিতা।
বিদেশে থাকে যে প্রবাসী।
বিদ্যালাভ করেছেন যিনি কৃতবিদ্যা।
বিশ্বজনের জন্য হিতকর বিশ্বজনীন।
বন্দনা করবার যোগ্য বন্দনীয়।
বীণার ঝংকার নিক্বণ।

ভ
ভবিষ্যতে কী হবে ভাবে না যে অপরিণামদর্শী।
ভুজ বা বাহুতে ভয় করে চলে যে ভুজঙ্গম।
ভাই বা ভ্রাতাদের মধ্যে সদ্ভাব সৌভ্রাত্র।
যা সহজে ভাঙে ভঙ্গুর।
ভোজন করার ইচ্ছা বুভুক্ষু।
ভিক্ষার অভাব দুর্ভিক্ষ।

ম
মরণ পর্যন্ত আমরণ
মৃত্যু পর্যন্ত আমৃত্যু।
মরার মতো মৃতপ্রায়।
ময়ূরের ডাক কেকা।
মুক্তি পেতে ইচ্ছুক মুমুক্ষু।
ময়ূরের কণ্ঠের ন্যায় কণ্ঠ যার ময়ূরকণ্ঠি।
মৃত্যু অতি নিকটে যার মুমূর্ষু, আসন্নমৃত্যু।
মাটি ভেদ করে ওঠে যা উদ্ভিদ।
মশাল বহন করে যে মশালচি।

শ/য
শিরে ধারণ করার যোগ্য শিরোধার্য।
যা যুক্তিসংগত নয় অযৌক্তিক।
যা সহজে লাভ করা যায় সুলভ।
যা ভেদ করা দুঃসাধ্য দুর্ভেদ্য।
যা বিশ্বাস করা যায় না অবিশ্বাস্য।
যা অনেক কষ্টে সাধন করা যায় দুঃসাধ্য।
যা সম্পন্ন করা যায় না অসাধ্য।
যা কষ্টে লাভ করা যায় দুর্লভ।
যা ভস্মে পরিণত হয়েছে ভস্মীভূত।
যা হতে পারে না। অসম্ভব।
যা আশা করা যায় তার বেশি আশাতীত।
যা কষ্টে লঙ্ঘন করা যায় দুর্লঙ্ঘ্য।
যা শব্দ করছে শব্দায়মান।

সিনিয়র শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা

পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল