পিটসবার্গের সুপারকম্পিউটার সেন্টার
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডট ওআরজি

৯ জুন ১৯৮৬
৫ সুপারকম্পিউটারে ইন্টারেনেটের অগ্রগতি
আধুনিক ইন্টারনেট নিয়ে কাজ করা অগ্রদূতদের সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্রে দ্য পিটসবার্গ সুপারকম্পিউটার সেন্টার চালু হয় ১৯৮৬ সালের ৯ জুন। এই কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের নেটওয়ার্কের (এএসএফনেট) কাজ শুরু হয়। পাঁচটি সুপারকম্পিউটারের মাধ্যমে পিটসবার্গের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাট স্যান ডিয়াগো, ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়স অ্যাট আরবানা–শ্যাম্পেইন ও কর্নেল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যুক্ত হয় এনএসএফনেটে। এর ফলে ইন্টারনেটের জন্য প্রয়োজনীয় সত্যিকারের নেটওয়ার্কের দ্রুত উন্নয়ন ঘটে। পরবর্তী সময়ে মার্কিন সরকার অ্যারপানেটের সব কাজ এনএসএফনেটকে সম্পাদন করার দায়িত্ব দেয়। এনএসএফ ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটের বাণিজ্যিক ব্যবহার অনুমোদন করে। ১৯৯৫ সালে এই মূল কাঠামো থেকে সরে গিয়ে ইন্টারনেট স্বনির্ভর শিল্পে পরিণত হয়।

আইমেশের লোগো
উইকিপিডিয়া

৯ জুন ২০১৬
আইমেশ বন্ধ হয়ে যায়
ইন্টারনেটভিত্তিক সফল তিনটি ফাইল শেয়ারিং সেবার একটি হিসেবে গণ্য করা হতো আইমেশকে। আইমেশ ছিল মিডিয়া ও ফাইল শেয়ারিং ক্লায়েন্ট সার্ভার। নয়টি ভাষায় এটি পাওয়া যেত। মূলত গান ও সুরের অডিও ফাইল পাওয়া যেত আইমেশে। পিটুপি (পিয়ার টু পিয়ার) নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আইমেশ ইন্টারনেট থেকে গান নামানোর সুবিধা দিত। মার্কিন কোম্পানি আইমেশ ইনকরপোরেটেডের কারিগরি মান উন্নয়ন কেন্দ্র ছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ২০০৯ সালে পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় জনপ্রিয় মিউজিক সাবস্ক্রিপশন সেবা ছিল এটি।

আরও পড়ুন

অ্যাডা লাভলেস দেখা করেন চার্লস ব্যাবেজের সঙ্গে

২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আইমেশের ওয়েবসাইট হ্যাকড হয় এবং আনুমানিক ৫ কোটি গ্রাহক অ্যাকাউন্ট হ্যাকারদের হাতে চলে যায়, ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে তা ডার্ক ইন্টারনেটের কালোবাজারে বিক্রির জন্য তোলা হয়।

২০১৬ সালের ৯ জুন আগাম কোনো ঘোষণা না দিয়েই আইমেশের সব সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আইপডে বিনা মূল্যে ও গ্রাহক হয়ে গান নামানোর সেবাও বন্ধ করে আইমেশ। কারণ হিসেবে শুধু বলে বদলে যাওয়া মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির এই সময়ে আইমেশ থেকে আর কোনো গান নামানো যাবে না।

সূত্র: কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি, কম্পিউটার হোপ

আরও পড়ুন

কাজ করল প্রথম ইলেকট্রনিক, ডিজিটাল কম্পিউটার