ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং। এ মুক্ত পেশায় তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বেশি। ঘরে বসে বিদেশের তথ্যপ্রযুক্তির নানা কাজ করে আয় করেন ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবীরা। কিন্তু শুরু কীভাবে করতে হবে, ফ্রিল্যান্সার থেকে কী জানতে হবে, এ নিয়ে দ্বিধা অনেকের। অনেকে সঠিক দিকনির্দেশনাও পান না। ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, এ ব্যাপারে আগ্রহ আছে, এমন পাঠকদের জন্য শুরু হলো ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ ‘ফ্রিল্যান্সিং যেভাবে’। আজ থাকছে ২৫তম পর্ব।
পর্ব-২৫
দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি নিয়মিত পরিশ্রম করলে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস থেকে ভালো আয় করা সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস থেকে সব সময় একই পরিমাণ অর্থ আয় করা যায় না; অর্থাৎ পরপর কয়েক মাস ধরে আপনি ২ হাজার ডলার আয় করলেও, পরের মাসে আপনার আয় ৫০০ ডলারও হতে পারে। বিশ্ব অর্থনীতি থেকে শুরু করে ক্লায়েন্টদের আর্থিক সমস্যার কারণে মার্কেটপ্লেসে কাজের চাহিদা ও পারিশ্রমিক কমে যেতে পারে। ফলে চাকরির মতো প্রতি মাসে একই পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব হয় না। যেসব ফ্রিল্যান্সার নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কাজ করেন, তাঁরা এ ক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যায় না পড়লেও অন্যদের আয়ের পরিমাণ কমে যায়।
অনেক সময় মার্কেটপ্লেসের নিয়ম ভাঙলে অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যায়। ফলে আয় করা যায় না। আর তাই মার্কেটপ্লেসে কাজ করার সময় ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ভালো ধারণা রাখতে হবে।
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস থেকে এক মাসে আপনি যে পরিমাণ অর্থ আয় করেছেন, তা কখনো মাসিক আয় হিসেবে বিবেচনা করবেন না। এ ক্ষেত্রে সর্বশেষ ছয় মাসে আপনার আয়ের পরিমাণকে ছয় দিয়ে ভাগ করে প্রতি মাসের গড় আয় নির্ধারণ করতে হবে।
অনেকেই মার্কেটপ্লেসে আয় শুরুর পরপরই অন্যকে দেখে দামি পণ্য কেনেন। এ ক্ষেত্রে আপনার কাজের উপযোগী হালনাগাদ প্রযুক্তিপণ্য কেনার পাশাপাশি অনলাইনে অর্থের বিনিময়ে কোর্স করতে পারেন। চাইলে আপনার কাজের উপযোগী বিভিন্ন দামি সফটওয়্যারও কিনতে পারেন।
মার্কেটপ্লেসের পাশাপাশি সরাসরি ক্লায়েন্ট খুঁজে কাজ করার জন্য অর্থের বিনিময়ে ভালো মানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। পাশাপাশি কর্মীদের দিয়ে কাজ করানোর জন্য নিজের প্রতিষ্ঠানও খুলতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে কমপক্ষে এক বছরের কার্যালয় ভাড়া এবং কর্মীদের বেতনের অর্থ সঞ্চয় করতে হবে।
লেখক: আপওয়ার্ক টপ রেটেড প্লাস ফ্রিল্যান্সার
পরের পর্ব: অ্যাকাউন্ট বিষয়ে সতর্কতা