অনলাইন থেকে ক্ষতিকর অ্যাপ না নামাতে মানতে হবে এই ৫ নিয়ম

অনলাইন থেকে অ্যাপ নামানোর আগে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবেরয়টার্স

স্মার্টফোনে অনলাইন থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যাপ নামিয়ে ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু অনলাইনে থাকা সব অ্যাপ নিরাপদ নয়। কারণ, বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্টফোনে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে থাকে সাইবার অপরাধীরা। এসব ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস একবার স্মার্টফোনে প্রবেশ করলেই গোপনে দূর থেকে ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি করার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা যায়। ফলে সাইবার হামলার ঝুঁকিতে থাকেন ব্যবহারকারীরা। তাই অনলাইন থেকে অ্যাপ নামানোর আগে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

১. অপরিচিত অ্যাপ স্টোর বা ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ না নামানো 

অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা সহজেই গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ নামানোর সুযোগ পেয়ে থাকেন। ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখতে নিজেদের স্টোরে কোনো প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ প্রদর্শনের আগেই ক্ষতিকর কি না, তা যাচাই করে থাকে গুগল ও অ্যাপল। ফলে গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোরে থাকা অ্যাপগুলো তুলনামূলক বেশি নিরাপদ। কিন্তু অনেকেই বিভিন্ন প্রলোভনে পড়ে অপরিচিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট বা লিংকের মাধ্যমে অ্যাপ নামিয়ে থাকেন। এসব অ্যাপের বেশির ভাগই ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস ছড়িয়ে স্মার্টফোন থেকে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে সাইবার অপরাধীদের পাঠাতে থাকে। তাই অনলাইন থেকে অ্যাপ নামানোর সময় সব সময় থার্ড পার্টি অ্যাপ স্টোরের বদলে অফিশিয়াল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ নামাতে হবে।

আরও পড়ুন

২. অ্যাপের গোপনীয়তা নীতিমালা ও শর্ত জানা

অ্যাপ নামানোর আগে অনেকেই অ্যাপটির গোপনীয়তা ও নীতিমালার শর্ত পড়েন না। এতে ব্যবহারকারীদের অজান্তেই অনেক অ্যাপ নামানোর সময় স্মার্টফোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে নেয়। এর মাধ্যমে ফোন থেকে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের অনলাইন কার্যক্রমের ইতিহাস, পছন্দ বা অপছন্দের তথ্য সংগ্রহ করতে পারে অ্যাপগুলো। ফলে সাইবার হামলা ঝুঁকি তৈরি হয়। সমস্যা সমাধানে অ্যাপ নামানোর আগেই সেটির নীতিমালাসহ তথ্য সংগ্রহের শর্তাবলি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।

আরও পড়ুন

৩. অ্যাপের তথ্য ব্যবহার নীতিমালা জানতে হবে

বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া বেশির ভাগ অ্যাপই ফোন থেকে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের অনলাইন কার্যক্রমের ইতিহাস, পছন্দ বা অপছন্দের তথ্য সংগ্রহে করে থাকে। এসব তথ্য কাজে লাগিয়ে পরে ব্যবহারকারীদের পছন্দমতো বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকে অ্যাপগুলো। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রিও করে থাকে। তাই অ্যাপ নামানোর আগে অবশ্যই অ্যাপের তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারের নীতিমালা দেখে নিতে হবে।

আরও পড়ুন

৪. অন্য ব্যবহারকারীদের মতামত জানা

অ্যাপ নামানোর আগে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় ভালোভাবে যাচাই করার পাশাপাশি অ্যাপটির অন্য ব্যবহারকারীদের মতামতও ভালোভাবে জানতে হবে। অন্য ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা যদি ভালো না হয় তবে অ্যাপটি না নামানোই ভালো।

৫. অপ্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের অনুমতি

অ্যাপ নামানোর সময়ই কাজের প্রয়োজনে ব্যবহারকারীদের কাছে থেকে স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন, কল লগ, ক্যামেরাসহ বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে নেয় বিভিন্ন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। তবে অ্যাপটি অপ্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের অনুমতি চাইছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। যেমন ক্যালকুলেটর অ্যাপের জন্য স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন ও কল লগের মতো তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন নেই। তাই অপ্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহের অনুমতি নেওয়া অ্যাপগুলো নামানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন