অ্যাসোসিওর আজীবন চেয়ারম্যান হলেন আবদুল্লাহ এইচ কাফি

সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত অ্যাসোসিও ওয়ার্ল্ড সামিটে আজীবন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল্লাহ এইচ কাফি (বাঁ থেকে চতুর্থ)সংগৃহীত

এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর সংস্থা এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশনের (অ্যাসোসিও) আজীবন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের আবদুল্লাহ এইচ কাফি। সিঙ্গাপুরে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অ্যাসোসিও ওয়ার্ল্ড সামিটে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের ২২টি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠন এই সংস্থার সদস্য। ১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু করা সংগঠনটি এবারই প্রথম আজীবন চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করল।

আবদুল্লাহ এইচ কাফি
সংগৃহীত

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম সফল উদ্যোক্তা ও সংগঠক আবদুল্লাহ এইচ কাফি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাবেক সভাপতি। অ্যাসোসিও–র সভাপতি ও সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। নতুন এ দায়িত্ব পাওয়ায় অ্যাসোসিওর আজীবন চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করবেন তিনি।

বিরল এই সম্মান পাওয়ার পর আজ রোববার আবদুল্লাহ এইচ কাফি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ অর্জন দেশের। বাংলাদেশের জন্য এটা অনেক বড় বিষয়। প্রতি দুই বছর পর পর অ্যাসোসিওর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। কিন্তু আমাকে আজীবন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সংগঠনটি। ফলে চেয়ারম্যান হিসেবে নতুন যিনিই আসবেন, তাঁকে আজীবন চেয়ারম্যানের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। এত বড় সম্মান দেওয়ায় আমি আনন্দিত। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতসহ বিভিন্ন খাতকে আমি সারা বিশ্বে তুলে ধরার চেষ্টা করি। নতুন এ দায়িত্ব পাওয়ায় কাজটি আরও ভালোভাবে করা যাবে।’

আবদুল্লাহ এইচ কাফি ১৯৯৩ সালে বিসিএসের সাধারণ সম্পাদক থাকার সময় অ্যাসোসিওর সঙ্গে যুক্ত হন। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে তুলে ধরার জন্য বিসিএস থেকে তিনিই প্রথম অ্যাসোসিওর সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিসিএসের সভাপতি হিসেবে সারা বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এক ছাদের নিচে আনার প্রস্তাব দিয়ে অ্যাসোসিওতে প্রশংসিত হন তিনি। ২০১২ থেকে ২০১৪ মেয়াদে অ্যাসোসিওর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আবদুল্লাহ এইচ কাফি ২০১৮ সালে পান অ্যাসোসিওর লিডারশিপ পুরস্কার। ২০১৫ সাল থেকে অ্যাসোসিওর অ্যাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

আবদুল্লাহ এইচ কাফি বাংলাদেশে ক্যানন প্রিন্টার, স্ক্যানার ও ক্যামেরার পরিবেশক জে এ এন অ্যাসিয়েটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।