যখন ছবি তখনই প্রিন্ট

ছবি: শামসুল হক
ছবি: শামসুল হক

বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি এখন ঘুরছে সারা দুনিয়া। এটি এসেছিল বাংলাদেশেও। গত বছরের ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় সেই ট্রফি দেখার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশের অনেক দর্শক। শুধু কি দেখা, এর সঙ্গে ছবিও তোলা গেছে র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে। অনেকেই হয়তো ভেবেছেন, ছবি তোলার পর সেটা পাওয়া যাবে তো! সেই ভাবনা নিয়ে চিন্তা করার সময়ও পায়নি দর্শকেরা, কয়েক সেকেন্ডে ছবি তুলে বেরোনো মাত্রই ছবির প্রিন্ট পেয়ে গেছে। প্রিন্ট করা ছবিতে আবার বিশেষ একটি নম্বরও দেওয়া হয়েছিল। সেই নম্বর অনুযায়ী ইন্টারনেটেও ছবিটি পাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিল। ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি ট্যুর বাই কোকা-কোলা’ নামের এ আয়োজনে ছবি তোলা, সেটির তাৎক্ষণিক প্রিন্ট নেওয়া, ওয়েবে ছবি রাখা ইত্যাদি ব্যাপারসহ পুরো প্রযুক্তিগত দিক সামলেছে কোকা-কোলা। এ ক্ষেত্রে এলএলসি নামক প্রতিষ্ঠানের তৈরি ক্লিকইট নামের সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে তারা। ঢাকায় বিশ্বকাপের সঙ্গে তোলা এক লাখ ৪০ হাজার ছবি প্রিন্ট করা হয়েছে।

কোকা-কোলা আটলান্টার ফুটবল, ক্রীড়া ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক ব্র্যাডফোর্ড রস ই-মেইলে প্রজন্ম ডট কমকে জানান, ক্লিকইট সফটওয়্যারটি (www.clickit-inc.com) একটি সার্ভার সলিউশন-ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে দ্রুত ডিজিটাল ছবি তুলে সেটি ৪ x ৬ ইঞ্চি আকারে প্রিন্ট করা যায়। প্রতিটি প্রিন্টেড ছবির সঙ্গে ১২ সংখ্যার ছবির সংকেত (কোড) দেওয়া হয়, যার সাহায্যে ছবিটি অনলাইন থেকেও দর্শকেরা পেতে পারে। চাইলে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা ই-মেইলের মাধ্যমে অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগিও করা যায়। পুরো প্রযুক্তিটি চাহিদামাফিক তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ইএএস ডিএসএলআর ক্যামেরা ব্যবহূত হয়েছে এতে। এই ক্যামেরা ক্লিকইট সফটওয়্যার সিস্টেমের সঙ্গে কাজ করেছে; পাশাপাশি প্রিন্টারটিও একই সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রিন্ট করে দিয়েছে।

এত ছবি কোথায় সংরক্ষিত হয়েছে—এ বিষয়ে রস জানান, পুরো কাজটি ক্লিকইট ভিপিএন এবং ক্লাউড-ভিত্তিক সার্ভার দিয়ে পরিচালিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রথমেই ক্লিকইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছবিটি তোলার পর তাৎক্ষণিকভাবে এটি একই সফটওয়্যার-চালিত প্রিন্টারে চলে যায়। দুটি সার্ভার একই সময়ে সিংক্রোনাইজড হয়ে প্রিন্ট হয়ে যায়। যিনি ছবিটি তোলেন, তিনি একটি বোতামে ক্লিক করেই এটি প্রিন্টারে পাঠিয়ে দিতে পারেন।

এই ট্যুরের অংশ হিসেবে বিশ্বকাপ ট্রফিটি আজ আছে পেরুতে, আগামীকাল ২৫ জানুয়ারি যাবে ইকুয়েডরে।