একাধিক কাজের জাবরা এলিট ২৫ই হেডফোন

দেশের বাজারে এসেছে জাবরা ব্র্যান্ডের নতুন হেডফোন এলিট ২৫ই। একাধিক কাজের উপযোগী এ হেডফোনে একবার চার্জ দিলে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। তারহীন প্রযুক্তিতে কল করা ও মিউজিক শোনার স্টেরিও নেকব্র্যান্ড হেডফোনটির দেশের বাজারে গ্রাহকের পছন্দ হবে বলে মনে করছে দেশি বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান টেক রিপাবলিক।

হেডফোনটিতে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটারি ব্যাকআপের পাশাপাশি সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় ভ্রমণের সময় কাজে লাগে। দারুণ নকশার হেডফোনটি বাইরের শব্দ ও পানিপ্রতিরোধী। এতে সিরি ও গুগল নাওয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট বাটন রয়েছে। হেডফোনটির রয়েছে সম্পূর্ণ মোবিলিটি সুবিধা। এতে রয়েছে কার্যকর সুইচিং সুবিধা। গান শোনা কিংবা কথা বলার সময় বাইরের বাতাসের শো শো শব্দের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে হেডফোনটির মাইক্রোফোনটি অযাচিত বাতাসপ্রতিরোধী (উইন্ড প্রোটেক্টেড)।

এলিট ২৫ই মডেলের হেডফোনটির নেকব্যান্ডটি ইচ্ছেমতো বাঁকানো যায়। ফলে, সারা দিন ব্যবহারেও অস্বস্তি হয় না। এর এয়ারগিলস এবং স্পিকার খুবই মানানসই করে যুক্ত করা বলে সহজে শব্দ বাইরে যায় না। হেডফোনটির সঙ্গে রয়েছে ভয়েস নিয়ন্ত্রণ বাটন এবং বার্তা পড়ে শোনানোর সুবিধা। চলতি পথেই প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা পাওয়া যায়। এ জন্য পকেট থেকে ফোন বের করার প্রয়োজন পড়ে। ফোন পকেটে রেখেই কল গ্রহণ এমনকি রিং টোনও বদলে ফেলা যায়।

হেডফোনটি বিষয়ে জাবরার বাংলাদেশি পরিবেশক এইচ এম ফয়েজ মোর্শেদ বলেন, জাবরা এলিট ২৫ই হেডফোনটির রয়েছ মাল্টিটাস্কিং সুবিধা। চলতি পথে, ব্যস্ত থাকলেও হাইকোয়ালিটি কনভারসেশন এবং মিউজিক শুনতে কার্যকর এটি। বাতাস ও পানিপ্রতিরোধী, আইপি ৫৪ রেটিংয়ের হেডফোনটি ব্লু-টুথের মাধ্যমে সংযুক্ত করা যায় আটটি ডিভাইস এবং মাল্টি ইউজের মাধ্যমে একই সময়ে দুটি ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়।

জাবরার দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিটার জয় সেলান বলেন, হেডফোন বাজারে ইতিমধ্যে ব্যাপক পরিচিত জাবরা। বাংলাদেশের বাজারেও প্রিমিয়াম হেডফোন ব্র্যান্ড হিসেবে জাবরা জায়গা দখল করে নিয়েছে।

জাবরা এলিট ২৫ইর দাম ৪ হাজার ৯০০ টাকা।

উল্লেখ্য, হেডফোন তৈরিতে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান জাবরা। জিএন গ্রুপের অংশীদার হিসেবে তারহীন প্রযুক্তির হেডফোন এবং এয়ার বাডের মতো নতুন প্রযুক্তি নিয়ে বর্তমানে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৮৬৯ সালে গঠিত জিএন গ্রুপ বর্তমানে বিশ্বের ১০০টি দেশে তাদের উদ্ভাবিত পণ্য পরিবেশন করছে। প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মীর সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি।