ভুয়া অ্যান্টিভাইরাস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে হ্যাকাররা

ম্যালওয়্যার হামলার প্রতীকী ছবিরয়টার্স

বিনা মূল্য অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারের প্রলোভন দেখিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজে অপারেটিং সিস্টেমে চলা বিভিন্ন যন্ত্রে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে একদল হ্যাকার। জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর নামের সঙ্গে মিল রেখে ওয়েবসাইটগুলো তৈরি করায় অনেকেই তা আলাদাভাবে শনাক্ত করতে পারেন না। ফলে হ্যাকারদের তৈরি করা অ্যান্টিভাইরাস নামিয়ে ম্যালওয়্যার আক্রমণের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। ম্যালওয়্যার ছড়ানোর এ ঘটনা শনাক্ত করেছেন সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ট্রেলিক্স সিকিউরিটির একদল গবেষক।

ট্রেলিক্স সিকিউরিটির তথ্যমতে, ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস অ্যাভাস্ট, বিটডিফেন্ডার ও ম্যালওয়্যার বাইটসের নামের আদলে ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করেছে হ্যাকাররা। এসব ওয়েবসাইট সহজে অ্যান্টিভাইরাস নামানোর প্রলোভন দেখিয়ে ব্যবহারকারীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে। আপাতদৃষ্টে মনে হতে পারে, এসব ওয়েবসাইটে থাকা অ্যান্টিভাইরাসগুলো আসল। কিন্তু  ওয়েবসাইটগুলো থেকে অ্যান্টিভাইরাস নামালেই যন্ত্রে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে।

আরও পড়ুন

অ্যাভাস্টের নামে চালু করা ওয়েবসাইট থেকে ভুয়া অ্যান্টিভাইরাস নামালেই যন্ত্রে ‘স্পাইনোট’ ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে। ফলে ব্যবহারকারীদের যন্ত্র থাকা এসএমএস, ফোনকলের তালিকা জানার পাশাপাশি দূর থেকেই গোপনে যেকোনো ক্ষতিকর অ্যাপ নামাতে পারে হ্যাকাররা। অন্যদিকে ভুয়া বিট ডিফেন্ডার ও ম্যালওয়্যার বাইটস অ্যান্টিভাইরাস নামালে যন্ত্র থেকে তথ্য চুরি করতে সক্ষম ‘লুমা’ ও ‘স্টিলসি’ ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে।

আরও পড়ুন

ট্রেলিক্স সিকিউরিটির গবেষক গুরুমূর্তি রামনাথন জানিয়েছেন, অনেকেই নিজেদের যন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যান্টিভাইরাস নামিয়ে থাকেন। আর তাই ভুয়া ওয়েবসাইটগুলোর কারণে সাধারণ ব্যবহারকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সাইবার হামলা থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে অপরিচিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তৈরি ওয়েবসাইটে থাকা অ্যাপ নামানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

সূত্র: দ্য হ্যাকার নিউজ

আরও পড়ুন