আপনার ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক নিরাপদ তো

বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা তেমন শক্তিশালী হয় নারয়টার্স

বিনা মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থাকায় অনেকেই রেস্তোরাঁ বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন। কেউ আবার ভ্রমণের সময় বিমানবন্দর বা রেলস্টেশনের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে ইচ্ছেমতো অনলাইনে ঢুঁ মারেন। বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক সবার জন্য উন্মুক্ত থাকায় নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা তেমন শক্তিশালী হয় না। ফলে ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য চুরির আশঙ্কা থাকে। তবে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করে বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সময় নিরাপদ থাকা যায়।

আরও পড়ুন

নেটওয়ার্কের বৈধতা যাচাই

বিমানবন্দর বা রেলস্টেশনে মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক অপশন চালু করলে সাধারণত ফ্রি এয়ারপোর্ট বা ফ্রি রেলস্টেশন নামের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক দেখা যায়। কিন্তু এ নেটওয়ার্ক বিমানবন্দর বা রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষের না–ও হতে পারে। কারণ, অনেক সময় সাইবার অপরাধীরা বিমানবন্দর, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে আলাদা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালু করে। নাম ও পাসওয়ার্ডে মিল থাকায় ভুল করে অনেকেই সেই নেটওয়ার্কে যুক্ত হন। আর তাই অপরিচিত স্থানের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের আগে সেটি বৈধ কি না, তা ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। এ জন্য বিমানবন্দর বা রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সঠিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের নাম ও ব্যবহারপদ্ধতি জানতে হবে।

আরও পড়ুন

ব্যক্তিগত তথ্য বিনিময়ে সতর্কতা

বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য সাধারণত নাম বা ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে হয়। এসব তথ্য চাইলেই ওয়াই-ফাই প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারে। শুধু তা–ই নয়, অনেক সময় ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে নিবন্ধনের কথা বলে ব্যবহারকারীদের ই-মেইল ঠিকানায় বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লগইন করতে বাধ্য করে সাইবার অপরাধীরা। আর তাই নিবন্ধনের সময় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টের নাম বা বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য দিতে বললে সেই নেটওয়ার্ক ব্যবহার না করাই ভালো।

আরও পড়ুন

ব্যবহার শেষে নেটওয়ার্ক মুছে ফেলা

বিভিন্ন প্রয়োজনে একই স্থানে একাধিকবার যেতে হয়। আর তাই ইন্টারনেট ব্যবহার শেষে পরবর্তী সময়ের কথা ভেবে মুঠোফোন থেকে বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের তথ্য মুছে ফেলেন না অনেকেই। ফলে পরবর্তী সময়ে নেটওয়ার্কের আওতায় এলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুঠোফোনে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালু হয়ে যায়। এতে নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা দেয়। সমস্যা সমাধানে ইন্টারনেট ব্যবহার শেষে মুঠোফোনে ফরগেট নেটওয়ার্ক নির্বাচন করে পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের তথ্য মুছে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে মুঠোফোনে স্বয়ংক্রিয় সংযোগসুবিধাও বন্ধ রাখতে হবে।

আরও পড়ুন

ভিপিএন ব্যবহার

বৈধ ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলেও সেটির নিরাপত্তাব্যবস্থা শক্তিশালী না–ও হতে পারে। ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন ব্যবহার করে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কারণ, এনক্রিপ্ট আকারে তথ্য বিনিময় করায় ভিপিএনের মাধ্যমে আদান-প্রদান করা তথ্য সহজে সংগ্রহ করতে পারে না সাইবার অপরাধীরা।
সূত্র: জেডডিনেট