কোথায় এই সেলফির মোড়

সেলফির মোড়ে রাহুল স্টোর
প্রথম আলো

যশোর সদর উপজেলার ইছালি ইউনিয়নের ইছালি মোড়, গ্রামবাসী এই জায়গার নাম দিয়েছেন ‘সেলফির মোড়’। এই মোড়ের রাস্তার দুই ধারে সারি সারি গাছ, ঝকঝকে পাকা রাস্তায় পড়ে বৃক্ষরাজির ছায়া। সব সময় সেখানে শীতল বাতাস বয়ে যায়। দূরদূরান্ত থেকে মানুষের ভিড় হয় এখানে। রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে তোলা হয় সেলফি। আগে এই মোড়ে একটি দোকান থাকলেও এখন সাত থেকে আটটি দোকান রয়েছে। সেলফি তোলার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে সময় কাটাচ্ছেন ঘুরতে আসা মানুষেরা। দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে চটপটি, ফুচকা, পেঁয়াজু, ছোলা, মুড়ি ইত্যাদি।

২৬ এপ্রিল ঘুরে এসেছি সেলফির মোড়। মোড়ে কথা হলো রাহুল স্টোরের দোকানির সঙ্গে। দোকানি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে অনেক দূর থেকে মানুষ আসে মোবাইল ক্যামেরায় সেলফি তুলতে। সেখান থেকেই নাম হয়ে গেছে সেলফির মোড়। কিছুদিন আগেই ইছালি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) একজন সদস্য এসে একটি অনুষ্ঠান করে সেলফি মোড় নাম দিয়ে দেন।’ রাহুল স্টোরের সাইনবোর্ডে অবশ্য লেখা আছে ‘সেলপির মোড়’। সেলফির আঞ্চলিক উচ্চারণে এমন লেখা হয়েছে বলে জানা গেল।

যশোরের সেলফির মোড়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিবেদক
প্রথম আলো

সেলফি মোড়ের পেঁয়াজু ও পাঁপড়বিক্রেতা রেবেকা বলেন, ‘তিন বছর আগেও শুধু আমার একটি টংদোকান ছিল। এখন এখানে অনেক দোকান হয়েছে। দূর থেকে মানুষ আমাদের এই সেলফি মোড়ে আসে। ছবি তোলে, সেলফি তোলে ও আমাদের দোকান থেকে পাঁপড়, ছোলা, পেঁয়াজু, মুড়ি কিনে খায়। বেচাকেনা খুব ভালো হয়, আমরা খেয়েপরে চলতে পারি।’

সারি ধরে গাছ আর মুক্ত বাতাস—সেলফির মোড়ের প্রধান আকর্ষণ
সংগৃহীত

এলাকাবাসী বলছেন, এই গ্রামের নাম ইছালি, নামটাও ইছালি মোড়। মানুষ এখানে ঘুরতে এসে সেলফি তুলতে তুলতেই নাম হয়ে গেছে সেলফির মোড়। সব সময় একটা মেলা–মেলা আমেজ থাকে। মানুষ কর্ম করে খাচ্ছেন। গ্রামটা ঘুরে যাচ্ছে। এটা স্থানীয় বাসিন্দাদের ভালোই লাগে। গ্রামবাসীর কেউ যদি বলে কোথায় আছিস? তখন তাঁরা বলেন, ‘সেলফির মোড়ে আছি।’

ঘুরতে আসা কয়েক তরুণকে দেখা যায় দোকানে এসে মজা করে বলছেন, ‘ভাইয়া আমাদেরকে সেলফি ছোলা দেন। এটা শুনে আসে পাশে ঘুরতে আসা লোকজনও হেসে বলছেন ভাইয়া আমাদেরকেও সেলফি ছোলা দেবেন।’