অ্যাপিকটায় বেসিসের সদস্যপদ দুই বছরের জন্য স্থগিত হলো

বেসিসের লোগোবেসিস

গত বছরের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্সের (অ্যাপিকটা) অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন করেও অংশ না নেওয়ায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্যপদ দুই বছরের জন্য স্থগিত করেছে অ্যাপিকটা কর্তৃপক্ষ। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অস্কারখ্যাত এই পুরস্কার প্রদান কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের ফলে আগামী দুই বছর বেসিসের মাধ্যমে কেউ অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না। তবে বাংলাদেশের যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি সরাসরি অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন প্রকল্পকে মনোনয়ন দিয়ে থাকে বেসিস। এ জন্য পাঁচবার বাংলাদেশ ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে সংগঠনটি। সর্বশেষ গত বছরের ৩১ অক্টোবর পঞ্চম বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০২২ আয়োজনে ৩৬টি শাখায় ৬৮টি প্রকল্প পুরস্কার পেয়েছে। অ্যাপিকটার এখনকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেসিস আর কোনো মনোনয়ন পাঠাতে পারবে না।

আজ বৃহস্পতিবার অ্যাপিকটার চেয়ারম্যান স্ট্যান সিং ও ভাইস চেয়্যারম্যান ফুলভিও ইনসেরার সই করা চিঠিতে পরবর্তী দুই বছরের জন্য অ্যাপিকটায় বেসিসের সদস্যপদ স্থগিত করার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে বেসিসের নির্বাহী কমিটিকে জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার অ্যাপিকটার কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে বেসিসের সদস্যপদ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছিল। সে সময় পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিল।

বেসিসের সদস্যপদ দুই বছরের জন্য স্থগিত করার আগে সংগঠনটিকে নিষেধাজ্ঞা দিতে হতে পারে বলে চিঠি দিয়েছিল অ্যাপিকটা কর্তৃপক্ষ। চিঠি পাওয়ার পর গত ১৭ জানুয়ারি অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতায় অংশ না নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে চিঠি পাঠান বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। কিন্তু সদস্যদেশ হিসেবে প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন করেও অংশ না নেওয়ায় বেসিসের সদস্যপদ দুই বছরের জন্য স্থগিত করেছে অ্যাপিকটা।

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ
সংগৃহীত

অ্যাপিকটার চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবারের আয়োজনে অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকেও মনোনয়ন পাওয়া সদস্যরা পাকিস্তানে যেতে রাজি না হওয়ায় আমরা ভার্চ্যুয়ালি অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চেয়েছিলাম। চীন এ সুযোগ পেলেও আমাদের দেওয়া হয়নি। আমরা বিষয়টি অ্যাপিকটা কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে বলার পরও তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে বেসিস বা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোনো সমস্যা হবে না।’