বিপিও খাতে তরুণেরা যত বেশি যুক্ত হবে, দেশ ততই এগিয়ে যাবে: মোস্তাফা জব্বার

বিপিও সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারপ্রথম আলো

‘নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। আমাদেরও সেগুলো গ্রহণ করতে হবে। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চললে আমরা পিছিয়ে পড়ব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কেননা যে রোবট কাজ করবে, তা মানুষই তৈরি করবে। দেশের তরুণদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার ইন্টারনেটের দাম কমিয়েছে। আর তাই ইন্টারনেটভিত্তিক কাজে এগিয়ে এসেছে তরুণেরা। বিপিও খাতে তরুণেরা যত বেশি যুক্ত হবে, দেশ ততই এগিয়ে যাবে।’ গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পঞ্চম বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩’–এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি কাজে দক্ষতা বাড়াতে ২৫ হাজার নারীকে উদ্যোক্তা তৈরির প্রশিক্ষণ দেবে আইসিটি বিভাগ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে সরকারি সেবাগুলো কাগজহীন ও স্বয়ংক্রিয় করে শহর ও গ্রামের ব্যবধান দূর করা হবে।’

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘বিপিও খাতের লাইসেন্সের জন্য ২২টি ফরম পূরণের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে অনলাইন পোর্টাল চালু করা হবে। এর ফলে বিপিও খাতে কাজের সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বিপিও খাতের কর্মীদের প্রায় ৬০ শতাংশই নারী। এ খাতে নারীদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। নারীদের কর্মসংস্থানে কল সেন্টারগুলো বড় ভূমিকা রাখছে।’

আরও পড়ুন

বিপিও সামিটের আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এবারের বিপিও সম্মেলনে চাকরিপ্রার্থীরা আট হাজারের বেশি জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। সরাসরি অংশ নেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে প্রায় ৬০ লাখ ব্যক্তি সম্মেলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।’

আরও পড়ুন

দুই দিনের এই সম্মেলনে ১৫ প্রতিষ্ঠান বিপিও খাতের প্রযুক্তি ও কাজের পদ্ধতি প্রদর্শন করেছে। জাতীয় পর্যায়ের এই সম্মেলন আয়োজনের আগে বিভাগীয় পর্যায়ে বিপিও সামিট এবং ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাক্কোর সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।