রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে শেখ হাসিনাই প্রথম কম্পিউটার ব্যবহার করেন

আইএসপিএবির কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তৃতা করছেন মোস্তাফা জব্বার
ছবি: প্রথম আলো

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণেই বাংলাদেশ প্রযুক্তিক্ষেত্রে এত এগিয়ে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেই শেখ হাসিনাই প্রথম কম্পিউটার ব্যবহার করেছেন। তিনি নিজ হাতে বাংলায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি লিখে পত্রিকা অফিসে পাঠাতেন। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) আয়োজিত আইপিভি ৬ (ষষ্ঠ প্রজন্মের ইন্টারনেট প্রটোকল) রাউটিং ডেপ্লয়মেন্ট কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে আইএসপিএবি আয়োজিত ‘আইপিভি ৬ রাউটিং ডেপ্লয়মেন্ট’ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশের ইন্টারনেট ও কম্পিউটারের জাগরণ হয়েছে শেখ হাসিনার কারণেই। গ্রামপর্যায়ে ইন্টারনেট পৌঁছে না দিতে পারলে দেশকে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করা কঠিন হবে। সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। ইন্টারনেট ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে না পারলে দেশের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই ইন্টারনেট ব্যবসাকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সরকার সব রকম সহযোগিতা করবে।’

মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসা বন্ধ করতে সরকার আরও কঠোর হবে। ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের জন্য সরকার একটি নীতিমালা তৈরি করছে। জনসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে কোন এলাকা কতটি আইএসপি লাইসেন্স পাবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। ইন্টারনেট সেবায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নতুন লাইসেন্স দেওয়ার চেয়ে বিদ্যমান লাইসেন্সধারীদের আপগ্রেডেশনের সুযোগ দেওয়াকেই আমি বেশি যৌক্তিক মনে করি।’

আইপিভি ৬ চালু না করা হলে দেশ নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়বে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের আইপিভি ৬–এ যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। প্রয়োজনে ষষ্ঠ প্রজন্মের আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) সঞ্চালনে সক্ষম নয়, এমন রাউটার আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। ২০৪১ সাল নাগাদ দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার ৪ হাজার জিবিপিএস ছাড়িয়ে যাবে। এই চাহিদা পূরণ করতে সিমিউই ৬ সাবমেরিন কেব্‌ল নেটওয়ার্কে আমরা যুক্ত হয়েছি।

কাকতালীয়ভাবে বাড়তি কেব্‌ল সংযুক্তির সুবিধা নিয়ে আমরা ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথে পৌঁছাব।’

আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইবিপিসি সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খান, আইএসপিএবির সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়াসহ অনেকে।

এপনিক সদস্য প্রশিক্ষক আবদুল আওয়াল ও আবু নাছেরের মাধ্যমে আইপিভি ৬ ডেপ্লয়মেন্ট নিয়ে ৮০ জনকে ৩ দিনের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আইএসপিএবি।