স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নারীদের প্রযুক্তি শিক্ষার হার বাড়ানোর তাগিদ

স্মার্ট বাংলাদেশে নারীদের অন্তর্ভুক্তি শীর্ষক সেমিনারের অতিথিরাসংগৃহীত

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নারীর অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে হলে নারীদের প্রযুক্তিশিক্ষার হার বাড়াতে হবে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিতে বিশেষভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে নারীরা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩’ মেলার অংশ হিসেবে আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশে নারীদের অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রযুক্তিতে নারী এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নারীদের অন্তর্ভুক্তি ও ভূমিকা তুলে ধরতে যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি)।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘আমার কাছে অসম্ভব বলে কোনো শব্দ নেই। আমার কাছে সবই সম্ভব। যদি লক্ষ্য ঠিক থাকে আর মনে দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি থাকে, তাহলে অসম্ভবকেও জয় করা যায়।’
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন  লাফিফা জামাল জানান, বর্তমানে মাত্র ৩০ শতাংশ নারী তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। আর দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পেশাজীবীদের মধ্যে নারীর সংখ্যা মাত্র ১২ শতাংশ। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নারীর অনেক ভূমিকা রয়েছে। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন সুযোগ দিতে হবে।

নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার বলেন, ‘একজন নারী হিসেবে অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে আমি আজ এ জায়গায় এসেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের নারীরা এখন অনেক এগিয়ে গেছে। তারা এখন গ্রামে বসে মোবাইলের সাহায্যে অনলাইনে ব্যবসা করছে। বিকাশে টাকা লেনদেন করছে। মেয়েরা অনলাইনে ক্লাস করছে। স্মার্ট বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। নারীরাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে অবদান রেখে চলেছে।’

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য রুবানা হক বলেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ে আগের তুলনায় নারীদের পড়ালেখার হার বেড়েছে। তবে এ সংখ্যা কম। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নারীদের এ বিষয়ে পড়ালেখায় উৎসাহিত করতে হবে। নারী তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবীর সংখ্যা বেশি হলে তারা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজির (বিডব্লিউআইটি) সভাপতি রেজওয়ানা খান, বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সামিরা জুবেরী, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন প্রমুখ।