ইলন মাস্কের বিরোধিতা করে টুইটেই চাকরি খোয়ালেন কর্মী

ইলন মাস্করয়টার্স

টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্কের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে টুইট করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মী। টুইটার ব্যবহার করেই তাঁকে বরখাস্ত করেছেন ইলন মাস্ক। ওই কর্মী একজন ডেভেলপার। তিনি টুইটারের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ বিভাগে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।
গত মাসে ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারে টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক। এর পর থেকে টুইটারে নিজের পদ হিসেবে তিনি ‘চিফ টুইট’ লিখে রেখেছেন। টুইটার কেনার পর থেকে কর্মী ছাঁটাইসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাস্ক, যা ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। তবে ইলন মাস্ক এসব গায়ে মাখছেন না।

আরও পড়ুন

টুইটারের আয় বাড়াতে ‘নীল টিক’ নামের অ্যাকাউন্ট যাচাই করার সেবাও চালু করেছিলেন। কিন্তু ভুয়া অ্যাকাউন্টের ছড়াছড়িতে তা-ও বন্ধ করতে হয়েছে তাঁকে। এ পরিস্থিতিতে টুইটারে তিনি ব্যবহারকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি টুইট করেন। তাতে লেখেন, অনেক দেশে টুইটার ধীরগতির অ্যাপ। ইলন মাস্কের মন্তব্যটি ভালোভাবে নিতে পারেননি ডেভেলপার এরিক ফ্রনহফার। তিনি টুইট করে বলেন, মাস্কের মূল্যায়ন ঠিক নয়।

নিজের প্রতিষ্ঠানের কর্মীর এমন টুইট ঠিকভাবে নিতে পারেননি ইলন মাস্ক। পাল্টা টুইট করে তিনি ওই কর্মীর কাছে জানতে চান, তাঁর মূল্যায়ন যদি ঠিক না হয়, তবে সঠিক মূল্যায়ন কী হবে? টুইটারের এ সমস্যাগুলো ঠিক করতে ডেভেলপাররা কী কী করেছেন?

আরও পড়ুন

টুইটারের কর্মীর সঙ্গে ইলন মাস্কের এ বাদানুবাদে অন্য ব্যবহারকারীরাও যুক্ত হন। কেউ কেউ নানা মিম প্রকাশ করতে শুরু করেন। অনেকেই ইলন মাস্কের পক্ষ নেন। ডেভেলপারদের কেউ কেউ ফ্রনহফারের পক্ষ নেন। তবে ইলন মাস্কের পক্ষের ব্যবহারকারীদের একজন ফ্রনহফারকে উল্লেখ করে লেখেন, মাস্কের মূল্যায়ন যে সঠিক নয়, সে বিষয়টি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে জানানো উচিত ছিল। তবে ফ্রনহফার দমে যাওয়ার পাত্র নন। তিনি টুইটের জবাবে লেখেন, ইলন মাস্কের উচিত ছিল বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে জানতে চাওয়া। তিনি ই-মেইলের মাধ্যমেও বিষয়টি জানতে চাইতে পারতেন।
ফ্রনহফারের জবাবটি ইলন মাস্ককে ট্যাগ করে এক ব্যবহারকারী লেখেন, এ ধরনের আচরণের কোনো ব্যক্তিকে আপনি কর্মী তালিকায় রাখবেন কি না? এর জবাবে ইলন মাস্কে লেখেন, তাঁর চাকরি আর নেই।

ইলন মাস্ক টুইটারে দারুণ সক্রিয়। তিনি টুইটারে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন বিষয়ে সাড়া দেন। এমনকি টুইটারে তিনি নানা বিষয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন বা জরিপ চালান। টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি বিতর্কিত বেশ কিছু ফিচার এনেছেন। এর মধ্যে আট মার্কিন ডলার খরচ করে ‘নীল টিক’ চালুর বিষয়টি সবচেয়ে আলোচিত।

প্রযুক্তিবিষয়ক ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তিনি টুইটার ব্যবহার করার জন্য অর্থ নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েও ভাবছেন। তবে ইলন মাস্ক যেসব সেবা চালু করেছেন, সেগুলো ব্যবহারকারীরা ভালোভাবে নেননি। ফলে বেশ কিছু উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিজ্ঞাপনদাতারাও সরে গেছেন। ফলে বেকায়দায় পড়েছেন মাস্ক। তবে তিনি এগুলো গায়ে মাখছেন না। এক টুইট করে তিনি বলেছেন, আগামী সপ্তাহগুলোতে টুইটার বেশ কিছু বোকার মতো ভুল করবে। এর মধ্য দিয়েই শেখা যাবে।