সাংবাদিকতার তথ্যে প্রশিক্ষণ নিতে কত ডলার ব্যয় করছে চ্যাটজিপিটি

সংবাদমাধ্যমের তথ্যভান্ডার ব্যবহার করতে চায় ওপেনআইসংগৃহীত

চ্যাটিজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির চ্যাটবটগুলোকে শিখতে হয় প্রতিনিয়ত। মানুষের মতো চ্যাটজিপিটিরও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। ইন্টারনেটের বিভিন্ন তথ্যভান্ডার থেকে প্রশিক্ষণ নেয় চ্যাটজিপিটি। সেই তথ্যই মানুষের সামনে তুলে ধরে এই চ্যাটবট। এবার সেই প্রশিক্ষণ আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে যাচ্ছে চ্যাটজিপিটির মূল প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। সম্প্রতি ওপেনএআই মার্কিন গণমাধ্যম নিউজ কর্পের সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই চুক্তির ফলে নিউজ কর্পের সব তথ্যভান্ডার বা ডেটাবেজ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে চ্যাটজিপিটি। এই চুক্তির জন্য ওপেনএআইকে গুনতে হবে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার।

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, দ্য সান, দ্য টাইম, দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট, মার্কেট ওয়াচ এবং সানডে টাইমস ইত্যাদি পত্রিকাগুলোর মূল প্রতিষ্ঠান হলো ‘নিউজ কর্প’। এই চুক্তির মাধ্যমে বিশাল গণমাধ্যমগুলোর তথ্যভান্ডার ও প্রতিবেদনে প্রবেশ করতে পারবে চ্যাটজিপিটি। ফলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জড়িত সাংবাদিকদের প্রতিবেদন চ্যাটজিপিটির হাতে চলে আসবে।

ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যান জানান, এই চুক্তি নতুন এক ভবিষ্যতের সূচনা করতে যাচ্ছে, যেখানে এআই সাংবাদিকতা পেশাকে সম্মান করবে এবং আদর্শ সাংবাদিকতা তুলে ধরবে।

এই চুক্তির আগে অনুমতি ছাড়া ইন্টারনেট থেকে তথ্য ও প্রতিবেদনের ওপর চ্যাটজিপিটিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ায় সমালোচনার শিকার হয়েছে ওপেনএআই। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এ নিয়ে মামলা করেছে ওপেনএআই ও মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে। এবার ২৫ কোটি ডলারের চুক্তির মাধ্যমে ভবিষ্যতে সেই ধরনের মামলা থেকে রেহাই পাবে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, রেডিট ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও চুক্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে ওপেনএআইয়ের প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। তাদের বিশ্বাস, এই প্রতিবেদনগুলো সাংবাদিকদের পরিশ্রমের ফসল। বিনা অনুমতিতে এই তথ্যগুলো ব্যবহার করেছে ওপেনএআই। পাশাপাশি ভবিষ্যতে সাংবাদিকতার এই তথ্যগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

সূত্র: ইন্ডিয়াটুডে ডট ইন