প্রায় শূন্য মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে নভোযানের যন্ত্রাংশ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা

স্পেসক্যাল থ্রিডি প্রিন্টারভার্জিন গ্যালাকটিক

মহাকাশ অভিযানে ব্যবহৃত নভোযান তৈরি বেশ ব্যয়বহুল, ঝক্কি-ঝামেলাও কম নয়। শুধু তা–ই নয়, মহাকাশে কোনো নভোযানের যন্ত্রাংশে ত্রুটি দেখা দিলে সেগুলো মেরামত করা খুবই কঠিন। এ সমস্যা সমাধানে স্পেসক্যাল নামের একটি থ্রিডি প্রিন্টার তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলের বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে থ্রিডি প্রিন্টারটির মাধ্যমে মাইক্রোগ্রাভিটি বা প্রায় শূন্য মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে (যেখানে মানুষ বা কোনো বস্তু ভাসমান অবস্থায় থাকে) নভোযানের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরিও করেছেন তাঁরা।

বিজ্ঞানীদের দাবি, থ্রিডি প্রিন্টারটি প্রায় শূন্য মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকা পরিবেশে কাজ করতে পারে। আর তাই ভবিষ্যতে বিভিন্ন মহাকাশ মিশনে এই প্রিন্টার ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই থ্রিডি প্রিন্ট করে নভোযানের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি করা সম্ভব হবে। নভোচারীদের স্বাধীনভাবে মহাকাশে নানান উপকরণ ও সরঞ্জাম তৈরিতেও সহায়তা করবে এই প্রিন্টার।

আরও পড়ুন

গত মাসে উৎক্ষেপণ করা ভার্জিন গ্যালাকটিক ০৭ মিশনের অংশ হিসেবে থ্রিডি প্রিন্টারটি পরীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা। ১৪০ সেকেন্ডব্যাপী চলা এ পরীক্ষায় স্পেসক্যাল থ্রিডি পিইজিডিএ নামের তরল প্লাস্টিক থেকে নভোযানে ব্যবহার উপযোগী চারটি যন্ত্রাংশ প্রিন্ট করেছে প্রিন্টারটি।

আরও পড়ুন

নতুন থ্রিডি প্রিন্টারটির বিষয়ে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত গবেষক টেলর ওয়াডেল জানিয়েছেন, স্পেসক্যাল প্রিন্টারটি প্যারাবোলিক ফ্লাইটে পরীক্ষামূলকভাবে মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিস্থিতিতে ভালো ফলাফল প্রদর্শন করছে। তবে আরও বেশ কিছু বিষয় প্রমাণ করতে হবে প্রিন্টারটিকে। নাসার ফ্লাইট অপরচুনিটিস প্রোগ্রামের অর্থায়নে এবং বার্কলে ইঞ্জিনিয়ারিং ও বার্কলে স্পেস সেন্টারের সহায়তায় থ্রিডি প্রিন্টারটির কার্যকারিতা পরীক্ষার সুযোগ পাওয়া গেছে।

সূত্র: স্পেস ডটকম

আরও পড়ুন