মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে রহস্যময় শক্তির খোঁজ

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে আসা রহস্যময় সংকেতের শক্তির উৎস জানতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরাকিংস কলেজ লন্ডন

আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির (ছায়াপথের) কেন্দ্রীয় আণবিক অঞ্চল থেকে আসা রহস্যময় এক সংকেত শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এখন সেই সংকেতের পেছনে থাকা শক্তির উৎস জানতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের ধারণা, ডার্ক ম্যাটারের সঙ্গে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে সংঘটিত কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে এই রহস্যময় শক্তি উৎপন্ন হতে পারে।

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা রহস্যময় শক্তির বিষয়ে যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানী শ্যাম বালাজি বলেন, ‘আমাদের গ্যালাক্সির কেন্দ্রে পজিটিভ চার্জযুক্ত হাইড্রোজেনের বিশাল মেঘ অবস্থান করছেন। বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে এসব রহস্যের কারণ অনুসন্ধান করছেন। সাধারণত গ্যাস নিরপেক্ষ হয়; সেখানে এসব গ্যাসের ইলেকট্রন কোনোভাবে নেগেটিভ চার্জে পরিণত হওয়ার জন্য যথেষ্ট শক্তি গ্রহণ করছে। আমাদের গ্যালাক্সির এই অংশ থেকে বিকিরণকারী শক্তির চিহ্ন সেখানে থাকা কোনো উৎস থেকে আসছে।’

আরও পড়ুন

দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশে থাকা ডার্ক ম্যাটারের রহস্য জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। অনেকের ধারণা, মিল্কিওয়ের কেন্দ্রীয় আণবিক অঞ্চলেই ডার্ক ম্যাটারের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। কারণ, ডার্ক ম্যাটারের মাধ্যমে তৈরি পদার্থ আলোর সঙ্গে কোনো মিথস্ক্রিয়া করে না।

মহাকর্ষীয় প্রভাবের মাধ্যমে ডার্ক ম্যাটারের উপস্থিতি এখনো শনাক্ত করা যায়নি। আর তাই এবার বিজ্ঞানীরা অধরা এই রহস্য উন্মোচনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করছেন।

আরও পড়ুন

ডার্ক ম্যাটারের জন্য সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব হচ্ছে, এই পদার্থ উইকলি ইন্টারঅ্যাকটিং ম্যাসিভ পার্টিকেলস (ডাব্লিউআইএমপিএস) নামে পরিচিত কণার একটি গ্রুপ। ডার্ক ম্যাটার শনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ক্ষুদ্র ডার্ক ম্যাটার কণা একে অপরকে আঘাত করছে আর নতুন চার্জযুক্ত কণা তৈরি করছে। এই নতুন উৎপাদিত চার্জযুক্ত কণা পরবর্তীকালে হাইড্রোজেন গ্যাসকে আয়নিত করতে পারে।

সূত্র: এনডিটিভি