মহাকাশ বর্জ্যের কারণে ঝুঁকিতে পড়তে পারে ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক

মহাকাশে থাকা পুরোনো রকেটের বর্জ্যঅ্যাস্ট্রোস্কেল

মহাকাশে পৃথিবীর কক্ষপথে পুরোনো স্যাটেলাইট, রকেট উৎক্ষেপণের ধ্বংসাবশেষ, মহাকাশযান থেকে শুরু করে নভোচারীদের ফেলে আসা বিভিন্ন বর্জ্যের জট তৈরি হয়েছে। এসব বর্জ্যের কারণে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগব্যবস্থা গুরুতর হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বিভিন্ন স্যাটেলাইট ও মহাকাশযানের বর্জ্যগুলো আমাদের পৃথিবীর চারপাশের কক্ষপথ ঘিরে রেখেছে, যা ‘কেসলার সিনড্রোম’ নামে পরিচিত। এসব মহাকাশ বর্জ্যের জট মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, উন্নত ট্র্যাকিং সিস্টেম ও আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

নাসার বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পৃথিবীর কক্ষপথে মানবসৃষ্ট ধ্বংসাবশেষের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বর্তমানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, ছোট মহাকাশ বর্জ্যের কারণে পৃথিবীর কক্ষপথে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। সংঘর্ষের পর পৃথিবীর কক্ষপথ অব্যবহারযোগ্য হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। শুধু তা–ই নয়, বর্তমানে কক্ষপথে অবস্থান করা বিভিন্ন স্যাটেলাইটও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে পৃথিবীতে ইন্টারনেট, টেলিভিশন ও মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কয়েক দশক আগে নাসার বিজ্ঞানী ডোনাল্ড কেসলার কৃত্রিম উপগ্রহ ও বর্জ্যের মধ্যে সংঘর্ষ সম্পর্কে ধারণা দেন। সে সময় তিনি জানান, মহাকাশের ধ্বংসাবশেষ ও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সংখ্যা বৃদ্ধি ধীরে ধীরে পৃথিবীর কক্ষপথের জন্য বড় হুমকি তৈরি করছে।

ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির তথ্যমতে, পৃথিবীর কক্ষপথে বর্তমানে ৪৭ হাজারের বেশি শনাক্তযোগ্য ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এর বাইরে ক্ষুদ্রাকৃতির কয়েক লাখ বর্জ্য রয়েছে মহাকাশে। ক্ষুদ্রাকৃতির এসব বর্জ্যও মহাকাশে দ্রুতগতিতে ছুটে চলেছে, যা স্যাটেলাইটসহ মহাকাশযানের জন্য হুমকি তৈরি করছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া