আর্কটিক অঞ্চলের বরফ গলে নতুন মহামারির আশঙ্কা
২০২০ সালে কোভিড–১৯ মহামারি পুরো বিশ্বকে থামিয়ে দিয়েছিল। সেই দুঃসহ স্মৃতি মন থেকে মুছে যেতে না যেতেই আর্কটিক অঞ্চলের বরফ গলে বিভিন্ন জম্বি বা ভয়ানক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর ফলে নতুন মহামারির আশঙ্কা তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
নতুন এক গবেষণার তথ্যমতে, আর্কটিক অঞ্চলে ডিজিজ এক্স লুকিয়ে থাকতে পারে। কাল্পনিক এই ভাইরাসকে মেথুসেলাহ মাইক্রোব বলা হচ্ছে। এসব জীবাণু হাজার হাজার বছর ধরে মাটি ও হিমায়িত প্রাণীর দেহে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। এরপর বরফ গলার কারণে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন প্রাচীন রোগ মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে।
শারজাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী খালেদ আব্বাস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন কেবল বরফ গলে যাওয়াকে বোঝায় না। এর ফলে বাস্তুতন্ত্রের প্রাণী ও মানুষের মধ্যকার বিভিন্ন বাধা সরে যাচ্ছে। পারমাফ্রস্ট বলতে সেসব মাটি, শিলা বা পলিকে বোঝায়, যা হিমায়িত থাকে। আর্কটিক ও সাব–আর্কটিক অঞ্চলে হাজার হাজার বছর ধরে অনেক এলাকা এমন অবস্থায় আছে। বরফ গলার ফলে হাজার হাজার বছর ধরে হিমায়িত থাকা প্রাচীন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস উন্মুক্ত পরিবেশে চলে আসতে পারে। আর্কটিকে বরফ গলে যাওয়ার কারণে মারাত্মক কোনো জম্বি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে পরবর্তী মহামারি শুরু হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
২০১৪ সালে সাইবেরিয়ান পারমাফ্রস্টে পুরোনো ভাইরাসের খোঁজ পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৬ সালে সাইবেরিয়ান পারমাফ্রস্টে ৭৫ বছর ধরে হিমায়িত থাকা একটি পশুর মৃতদেহ থেকে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর পশ্চিম চীনের একটি হিমবাহের গভীরে ১ হাজার ৭০০টি প্রাচীন ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এসব ভাইরাস হিমবাহ ও পারমাফ্রস্ট গলে প্রকৃতিতে মুক্ত হলে নতুন উদ্বেগ তৈরি হতে পারে।
সূত্র: ডেইলি মেইল