প্রযুক্তির এই দিনে: ১৬ ফেব্রুয়ারি
ইন্টারনেটে প্রথম বুলেটিন বোর্ড সিস্টেম চালু হলো
বুলেটিন বোর্ড সিস্টেম (বিবিএস) বা কম্পিউটার বুলেটিন বোর্ড সার্ভিস (সিবিবিএস) অনলাইনে চালু হয়।
১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮
ইন্টারনেটে প্রথম বুলেটিন বোর্ড সিস্টেম চালু হলো
বুলেটিন বোর্ড সিস্টেম (বিবিএস) বা কম্পিউটার বুলেটিন বোর্ড সার্ভিস (সিবিবিএস) অনলাইনে চালু হয়। বিবিএস আসলে সফটওয়্যার চালিত কম্পিউটার সার্ভার। এই সার্ভারে একটি টার্মিনাল প্রোগ্রামের সাহায্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবহারকারীরা যুক্ত হতে পারেন। যুক্ত হওয়ার বা লগ-ইন করার পর ব্যবহারকারী এই সার্ভারে সফটওয়্যার বা তথ্য প্রকাশ করতে পারেন (আপলোডিং), আবার সার্ভার থেকে নামাতেও পারেন (ডাউনলোডিং)। সরাসরি চ্যাটিং বা মেসেজ বোর্ডের মাধ্যমে বিবিএসে ব্যবহারকারীরা বার্তা আদান-প্রদানও করতে পারতেন। ১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে ফিডোনেটের মতো মেসেজ নেটওয়ার্কে নেটমেইল তৈরি করে। যা বর্তমানের ইন্টারনেটভিত্তিক ই-মেইল আদান-প্রদান সফটওয়্যারের মতোই ছিল।
বিবিএস নানাভাবে এখনকার দিনের আধুনিক ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটের অন্যান্য মাধ্যমে পূর্বসুরী। কম খরচ ও বেশি কার্যকারিতার কারণে নব্বুইয়ের দশকের শুরুর দিকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় বিবিএস। ইনফোওয়ার্ল্ডের তথ্যমতে, ১৯৯৪ সালে পর্যন্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ হাজার বিবিএস সক্রিয় ছিল। ১ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারী বিবিএস ব্যবহার করতেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬
এনিয়াক কম্পিউটারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মুর স্কুলের নেতৃত্বে চালু করা হয় বিশ্বের প্রথম ইলেকট্রনিক ডিজিটাল কম্পিউটার এনিয়াক। মার্কিন সেনাবাহিনী এনিয়াকে অর্থায়ন করেছিল। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ছয় সপ্তাহ পর এনিয়াকের দুই নির্মাতা এককার্ট ও মচলি মুর স্কুল থেকে পদত্যাগ করেন। কারণ, তাঁর এর আগে তৈরি এডভ্যাক কম্পিউটারের পেটেন্ট স্বত্ব ছাড়তে চাননি। আর মুর স্কুল ভেবেছিল তাঁদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সহযোগিতা পাওয়ার ছিল, তা পাওয়া হয়ে গেছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০
কুইজ খেলায় চ্যাম্পিয়নদের হারায় আইবিএমের সুপারকম্পিউটার
মার্কিন টেলিভিশনে প্রচারিত জ্যাপার্ডে নামের জনপ্রিয় কুইজ প্রতিযোগিতায় দুজন প্রতিযোগীকে হারিয়ে দেয় আইবিএমের তৈরি সুপারকম্পিউটার ওয়াটসন ডিপকিউএ। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রচারিত জ্যাপার্ডে অনুষ্ঠানের দর্শকসংখ্যা ছিল কয়েক মিলিয়ন।
আইবিএমের প্রথম প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা (সিইও) টমাস জে ওয়াটসন সিনিয়রের নামে প্রশ্ন–উত্তর দেওয়ায় পারদর্শী এই সুপারকম্পিউটার তৈরি করে আইবিএমের গবেষণা দল। প্রধান গবেষক ছিলেন ডেভিড ফারুচ্চি।
সহজাত বা প্রাকৃতিক ভাষায় করা যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারত ওয়াটসন কম্পিউটার। জ্যাপার্ডি প্রতিযোগিতার দুই চ্যাম্পিয়ন ব্র্যাড রাটার ও কেন জেনিংস—দুজনকেই হারিয়েছিল ওয়াটসন। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ১০ লাখ ডলার পুরস্কার জিতেছিল এই সুপারকম্পিউটার। এটি নিউইয়র্কের টমাস জে ওয়াটসন রিসার্চ সেন্টারে রয়েছে। ওয়াটসন কম্পিউটারে ২ হাজার ৮৮০ পাওয়ার–৭ প্রসেসর ও ১৬ টেরাবাইট (১ হাজার গিগাবাইট = ১ টেরাবাইট) র্যাম ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ৮০ টেরাফ্লপস গতিতে কাজ করতে পারে।