মেট্রোরেল স্টেশনে বসবে ‘স্মার্ট ডেলিভারি লকার’

মেট্রোরেল স্টেশন স্মার্ট লকার চালু করতে আজ ডিএমটিসিএল ও এটুআইয়ের মধ্যে চুক্তি হয়
সংগৃহীত

রাজধানীর বিভিন্ন মেট্রোরেল স্টেশনে শিগগিরই চালু হচ্ছে স্মার্ট ডেলিভারি লকার–সেবা। পণ্য সরবরাহের এই স্বয়ংক্রিয় বক্সে মেট্রোরেলে যাতায়াতকারীরা কোনো ই-কমার্স সাইটে তাঁদের অর্ডার করা পণ্য পেয়ে যাবেন। কোনো সরবরাহকারী ছাড়া স্মার্টফোনে পাওয়া ওটিপি দিয়ে সুবিধাজনক সময়ে মেট্রোরেল স্টেশনে থাকা স্মার্ট লকার থেকে নিজের পণ্য সংগ্রহ করা যাবে। এ বিষয়ে আজ রোববার রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনে এটুআই ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং ডিএমটিসিএলের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন।

এই চুক্তির আওতায় এটুআই এমআরটি-৬-এর অন্তর্গত সব মেট্রোরেল স্টেশনের সুনির্দিষ্ট কিছু স্থান বাণিজ্যিকভিত্তিতে শর্তসাপেক্ষে ব্যবহার করবে। এই জায়গা ইন্টারনেট সংযোগভিত্তিক এই স্মার্ট ডেলিভারি লকার সিস্টেমের অবকাঠামো স্থাপন ও পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হবে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সরকারি জরুরি সেবার সাশ্রয়ী সরবরাহও দেওয়া হবে।

মেট্রোরেলের যাত্রীরা এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে আশা করছে এটুআই ও ডিএমটিসিএল। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ‘মেট্রোরেল ও এর ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে এসেছি, মুখমণ্ডল শনাক্তকরণ প্রযুক্তি সংযুক্ত করেছি। প্রযুক্তিনির্ভর এ ধরনের যেকোন উদ্যোগে এমআরটি পাশে থাকবে।’

ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, ‘মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের স্মার্ট বাংলাদেশের সুবিধা দিতে প্রতিটি মেট্রোরেল স্টেশনে এই ডিজিবক্স স্থাপনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও স্মার্ট করার লক্ষ্যেই আজকের এই চুক্তি।’

এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বলেছিলেন, তখন বেশির ভাগ মানুষের কাছেই তা অবাস্তব মনে হয়েছিল। অথচ তখন থেকে যদি আমরা প্রযুক্তিবান্ধব না হতাম, করোনা মহামারির সময়ে আমরা মহাবিপর্যয় ঠেকাতে পারতাম না। লকডাউনের সময় ই-কমার্সের মাধ্যমে, ৩৩৩ সেবার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে নিত্যপণ্য পৌঁছে দেওয়া গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনের এই পর্যায়ে এসে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ শুরু করেছি।’

ডিজিবক্সের নিরাপত্তার জন্য সার্বিক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত ডিএমটিসিএল, এমনটি জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের এমআরটি লাইন-৬-এর প্রকল্প পরিচালক মো. আফতাবউদ্দিন তালুকদার।

মেট্রোরেল স্টেশনে এটুআই-এর স্মার্ট লকার–সেবা শুধু পণ্য লেনদেনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। ধারাবাহিকভাবে সরকারের যাবতীয় ডিজিটাল সেবা ও লেনদেনও এর আওতাভুক্ত হবে জানান এটুআই প্রকল্পের নীতিমালা উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী। তিনি বলেন, এটুআইয়ের মাইগভ প্রকল্পে ১ হাজার ৬০০-এর বেশি সরকারি সেবা রয়েছে। মেট্রোরেলের একটি স্টেশনের স্মার্ট লকার কিওস্কের মাধ্যমে কেউ তাঁর পাসপোর্টের আবেদন করে সেই পাসপোর্টের ডেলিভারিও যেন আরেক স্টেশনের স্মার্ট লকারে পাওয়া যায়, সেটা বাস্তবায়নেও আমরা কাজ করব।’