কানাডায় হলো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এআই প্রতিযোগিতা

প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীরা। ওপরের সারির বাঁ দিক থেকে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, বদরুদ্দোজা কাইফ, মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ, শাহরিয়ার তানভির, এস এম রাকিব হাসান ও আকার ঢাকালসংগৃহীত

কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মেগামাইন্ড টেক ইনকরপোরেশন আয়োজিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিষয়ক একটি প্রতিযোগিতায় ছয় শিক্ষার্থী বিজয়ী হয়েছেন। গত এপ্রিলে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বাংলাদেশের সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়েই ছিল এই আয়োজন। ১৮ জুলাই বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে ঢাকা সিটি কলেজের আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও নটর ডেম কলেজের বদরুদ্দোজা কাইফের দল ‘টিম প্যারাগন’। দুজনই চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন ‘টিম ব্রেইনওয়েভ ব্যাটালিয়ন’। এই দলের দুই সদস্য হলেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) শিক্ষার্থী মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ ও শাহরিয়ার তানভির।

প্রতিযোগিতায় তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে টিম নুব এআই। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ছাত্র এস এম রাকিব হাসান ও আকার ঢাকাল এই দলের সদস্য।

মেগামাইন্ড প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নগদ পুরস্কার দিয়েছে। অন্যান্য অংশগ্রহণকারীও পেয়েছেন সান্ত্বনা পুরস্কার। মেগামাইন্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওঙ্কার গিল বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেখে ভালো লেগেছে। যখন তরুণ, মেধাবী ও পরিশ্রমী তরুণেরা এভাবে দুর্দান্ত কিছু তৈরি করে, তখন নিঃসন্দেহে বলা যায়, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। আমরা ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনা করছি।’

মেগামাইন্ডের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইশতিয়াক রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিযোগীদের যে “কম্পিউটার ভিশন” চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম, তা সহজ ছিল না। কিন্তু একাধিক দল এটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।’

মেগামাইন্ড টেক ইনকরপোরেশন স্মার্ট পণ্য তৈরি করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটবট এবং আরও অনেক কিছু ব্যবহার করে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালে কানাডার টরেন্টোতে যাত্রা শুরু করে, যেখানে তাঁদের পণ্য ছিল একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মাস্ক ডিটেক্টর সাইন, যা কোভিডের বিস্তার রোধে সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশ ও ভারতে তাদের প্রযুক্তি ব্যবসার কার্যক্রম রয়েছে।