প্রযুক্তির এই দিনে: ২১ অক্টোবর
প্রথমবারের মতো দুটি ঘরের মধ্যে টেলিগ্রাফ সংকেতের সফল আদান–প্রদান
জার্মান বংশোদ্ভূত রুশ সেনা কর্মকর্তা পাভেল লুভুভিচ শিলিং দুটি আলাদা কক্ষের মধ্যে টেলিগ্রাফ সংকেত পাঠাতে সফল হন।
২১ অক্টোবর ১৮৩২
প্রথমবারের মতো দুটি ঘরের মধ্যে টেলিগ্রাফ সংকেতের সফল আদান–প্রদান
জার্মান বংশোদ্ভূত রুশ সেনা কর্মকর্তা পাভেল লুভুভিচ শিলিং (১৭৮৬–১৮৩৭) প্রথমবারের মতো দুটি আলাদা কক্ষের মধ্যে টেলিগ্রাফ সংকেত পাঠাতে সফল হন। তিনি পল শিলিং নামে বেশি পরিচিত।
শিলিং ঊনবিংশ শতাব্দীতে নিডল টেলিগ্রাফ উদ্ভাবন করেন। এটি শিলিং টেলিগ্রাফ নামে পরিচিত। এতে কয়েকটি সুচের সমন্বয়ে তৈরি যন্ত্র ছিল। রাশিয়ায় ব্যবহারের জন্য ছিল ছয়টি সুচ। এই যন্ত্র বাইনারি সংকেত অক্ষরে রূপান্তর করত। পিয়ানোর মতো কি–বোর্ড থেকে সংকেত তৈরি হতো। একটি বাড়তি সার্কিট দিয়ে টেলিগ্রাফ গ্রহণ ও প্রেরণের সময় সতর্কসংকেত বাজত।
২১ অক্টোবর ১৯৪৯
কোর মেমোরির জন্য অ্যান ওয়াংয়ের পেটেন্ট আবেদন
কম্পিউটারের নকশাকাররা সেই সময়ে এমন একটি পথের সন্ধান করছিলেন, যা যান্ত্রিক কোনো ব্যবস্থা ছাড়া চৌম্বকীয় পদ্ধতিতে তথ্য ধারণ (রেকর্ড) ও তথ্য পড়া (রিড) যাবে। এ পথের সন্ধান থেকেই অ্যান ওয়াংয়ের ম্যাগনেটিক কোর মেমোরির ধারণা আসে। পরবর্তী সময় কম্পিউটারের উন্নয়নে ও তথ্য ধারণের কেন্দ্রমূলে আসে এই কোর মেমোরি। পেটেন্ট আবেদনের দুই বছর পর অ্যান ওয়াং প্রতিষ্ঠা করেন ওয়াং ল্যাবরেটরিজ।