চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক টুল মানুষকে তার কাজে সাহায্য করছে নাকি আরও বৈষম্য বাড়াচ্ছে? এমন প্রশ্ন এখন আরও প্রকট প্রযুক্তিবিশ্বে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) গবেষণায় উঠে এসেছে কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে চ্যাটজিপিটি।
এমআইটির অর্থনীতি বিভাগ এই গবেষণা পরিচালনা করেছে। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, যে অংশগ্রহণকারীরা ওপেন এআইয়ের চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছেন, তাঁদের কাজের উৎপাদনশীলতা বেড়েছে। এমনকি ভবিষ্যতে তাঁরা এই টুল ব্যবহার করবেন এমন সম্ভাবনাও বেশি। নিয়ন্ত্রিত এ গবেষণায় দেখা গেছে, প্রযুক্তিটি মানবকর্মীদের জন্য সহায়ক হতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, অপেক্ষাকৃত কম দক্ষ কর্মী চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করলে বৈষম্য কমতে পারে। আর দক্ষ কর্মীরা যদি এ প্রযুক্তি থেকে সহায়তা নেন, তবে বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এই গবেষণায় ৪৫৩ শিক্ষার্থী অংশ নেন। পেশাদারেরা নিয়মিত যেসব কাজ করেন, সেগুলো তাঁদের অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে দেওয়া হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন ও ই–মেইলের মতো লেখালেখির কাজ। অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেককে প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট শেষে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়। গবেষণায় দেখা যায়, চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে অংশগ্রহণকারীরা ১১ মিনিটে প্রতিটি কাজ শেষ করেছেন এবং তাঁদের কাজের গুণগত মানও উন্নত হয়েছে। এ ছাড়া চ্যাটজিপিটি ব্যবহার ছাড়া কাজের তুলনায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে সম্পন্ন করা কাজের মানও বেড়েছে। গবেষণার উপসংহারে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীর বৈষম্যের ব্যবধান কমাতে পারে।
সূত্র: ম্যাশেবল