ঘুমন্ত নারীর প্রাণ বাঁচাল অ্যাপল ওয়াচ

অ্যাপল ওয়াচরয়টার্স

আবারও ব্যবহারকারীর জীবন বাঁচিয়েছে অ্যাপল ওয়াচ। যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও অঙ্গরাজ্যের সিনসিনাটি শহরের বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী তরুণী কিমি ওয়াকিন্স নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎই তাঁর হৃৎস্পন্দনের গতি বেড়ে যায়। বিষয়টি শনাক্ত করে অ্যালার্ম বাজিয়ে তাঁকে জাগিয়ে তোলে অ্যাপল ওয়াচ।

কিমি ওয়াকিন্স জানিয়েছেন, সেদিন তিনি শারীরিকভাবে ভালো বোধ করছিলেন না। হালকা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ও শ্বাসকষ্ট ছিল। তাঁর অনুমান ছিল, কম খাওয়ার জন্য এমনটা হয়েছে। তাই তিনি নিজেকে সুস্থ করার জন্য ঘুমানোর চেষ্টা করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ঘুমানোর পর হৃৎস্পন্দন দ্রুত হওয়ার সতর্কবার্তা দিতে থাকে অ্যাপল ওয়াচ। তিনি দেখেন, ১০ মিনিটের বেশি সময় ধরে তাঁর হৃৎস্পন্দন বেশি আসছে। এ সময় হৃৎস্পন্দনের গতি ছিল প্রতি মিনিটে ১৭৮। পরে তিনি দ্রুত হাসপাতালে গেলে স্যাডল পালমোনারি এমবোলিজম বা এসপিই ধরা পড়ে।

সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ অব মেডিসিনের কার্ডিওলজিস্ট ডা. বেকার জানিয়েছেন, এ রকম পরিস্থিতিতে মানুষের বেঁচে থাকার হার ৫০ শতাংশ। স্যাডল পালমোনারি এমবোলিজমের কারণ রক্ত জমাট বাঁধা গুরুতর ও প্রাণঘাতী। এটি ডান ও বাঁ ফুসফুসের উভয় রক্তনালির ক্ষতি করে। বিষয়টি জানার পর কিমি ওয়াকিন্স বলেন, ‘অ্যাপল ওয়াচের কারণে সময়মতো ঘুম থেকে না জাগলে হয়তো বেঁচে থাকতে পারতাম না।’

উল্লেখ্য, অ্যাপল ওয়াচে ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম বা ইসিজি পরীক্ষার সুবিধা থাকায় ৩০ সেকেন্ডের পরীক্ষায় হৃৎস্পন্দনের যেকোনো অস্বাভাবিকতা—চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন (এফিব) বলে, তার লক্ষণ শনাক্ত করতে পারে। এরই মধ্যে হৃৎস্পন্দনের অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করে অনেক ব্যবহারকারীর জীবন বাঁচিয়েছে অ্যাপলের তৈরি এই স্মার্টঘড়ি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া