হয়ে গেল যুব প্রতিবন্ধীদের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিযোগিতা

আজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিযোগিতাছবি: সংগৃহীত

সকাল থেকেই কেউ এসেছেন মা-বাবার হাত ধরে, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে। সবার মনেই যেন এক স্বপ্ন। তাঁরা প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে অবদান রাখতে চান দেশের জন্য। সারা দেশ থেকে আসা এমন ১১৭ জন যুব প্রতিবন্ধীকে নিয়ে আজ শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউবিটি) অনুষ্ঠিত হলো ‘যুব প্রতিবন্ধীদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) প্রতিযোগিতা–২০২৩’।

সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রতিবন্ধিতার চারটি শ্রেণিতে প্রতিযোগিতা হয়। শ্রেণিগুলো হলো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, বাক্‌ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী এবং নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটি (এনডিডি)। সব শ্রেণিতেই প্রতিযোগীরা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট ও ইন্টারনেট এবং প্রোগ্রামিং (স্ক্র্যাচ) বিষয়ে অংশ নেন। প্রতিযোগীদের বয়সসীমা ছিল ১৪ থেকে ২২ বছর।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) ব্যবস্থাপক (সিস্টেমস) এবং প্রতিযোগিতার সমন্বয়ক মো. গোলাম রব্বানী জানান, ‘প্রতিবন্ধীরা সমাজেরই অংশ। তাদেরকে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিবন্ধীদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবন্ধীদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সারা দেশের প্রতিবন্ধীদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।’

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ সপ্তমবারের মতো এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। ঢাকার এক প্রতিযোগী বললেন, ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে আমি নিজেকে স্বাবলম্বী করতে চাই। আমি আমার পরিবারকে সাহায্য করতে চাই। তাই প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় শিখে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি।’

সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজঅ্যাবিলিটি (সিএসআইডি) এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) সহযোগিতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।

বিজয়ীদের সঙ্গে আয়োজকেরা
ছবি: সংগৃহীত

বিজয়ী যাঁরা

প্রতিযোগিতা শেষে প্রত্যেক শ্রেণিতে তিনজন করে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পুরো প্রতিযোগিতায় সেরা বিজয়ী আগামী অক্টোবরে সংযুক্ত আরব–আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

যুব প্রতিবন্ধীদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) প্রতিযোগিতা ২০২৩–এ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শ্রেণিতে বিজয়ীরা হলেন প্রথম বরিশালের মো. রবিউল বিশ্বাস, দ্বিতীয় রাজশাহীর মো. হাসিবুর রহমান এবং তৃতীয় রংপুরের মো. আবুজার রহমান।

শারীরিক প্রতিবন্ধী শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে ঝিনাইদহের মো. শাকিল আহমেদ, বরিশালের মো. সাজ্জাদুল ইসলাম ও পটুয়াখালীর নাইমুর রশীদ।

বাক্‌ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী শ্রেণিতে বিজয়ীরা হলেন প্রথম লালমনিরহাটের মো. রবিউল আউয়াল, দ্বিতীয় ঢাকার সুমাইয়া আক্তার এবং তৃতীয় রংপুরের মো. তাহিনুর ইসলাম।

এনডিডি শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন যথাক্রমে ঢাকার মুহতাসিন চৌধুরী, ময়মনসিংহের নাঈম ইসলাম ও বরগুনার মো. সাইফুর রহমান।