যে কারণে নাম বদলাতে চায় ফেসবুক

নতুন নামে পরিচিত হতে চায় ফেসবুকরয়টার্স ফাইল ছবি

নতুন নামে পরিচিত হতে চায় ফেসবুক। আগামী সপ্তাহেই জানা যেতে পারে নতুন সে নাম। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সময় আজ সকালে এ খবর প্রকাশ করে দ্য ভার্জ। সেখানে বলা হয়, ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ ২৮ অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির বার্ষিক সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন।

ব্যাপারটি অনেকটা গুগলের রিব্র্যান্ডিং কৌশলের মতো হতে পারে। সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টটি অ্যালফাবেট নামের মূল প্রতিষ্ঠান গঠন করে গুগলসহ সব সেবা এর অধীনে আনে ২০১৫ সালে। ফেসবুকও একই ধরনের নীতি অনুসরণ করে ‘ফেসবুক’ নামে মাতৃপ্রতিষ্ঠান গঠন করে। হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, অকুলাস এবং মূল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক অ্যাপসহ সেবাগুলো সেটির অধীনে আনা হয়।

ফেসবুকের নাম বদলানোর খবরের সত্য-মিথ্যা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। জবাবে প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘উড়ো খবর নিয়ে মন্তব্য করে না ফেসবুক।’ সুতরাং উড়ো খবরটি একদম উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।

ফেসবুক কেন নাম বদলাতে চাইবে—চলুন, এবার সে প্রসঙ্গে যাওয়া যাক। দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে মেটাভার্সের কথা বলা হয়েছে। ফেসবুকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সেবা তখন ভার্চ্যুয়াল জগতে পাওয়া যাবে, যে জগতে ব্যবহারকারীরা যুক্ত হয়ে বাস্তব দুনিয়ার মতো একে অপরের সঙ্গে কথোপকথন চালাতে পারবেন, একসঙ্গে কিছু কিছু কাজও হয়তো করতে পারবেন। ভার্চ্যুয়াল আর বাস্তব জগতের বিভেদ কমে যাবে বলা হচ্ছে। যা অগমেন্টেড এবং ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির সাহায্যে সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন

মেটাভার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুনর্গঠন ফেসবুকের নাম বদলের একটি কারণ হতে পারে। তবে দ্য গার্ডিয়ান বলছে, খবরটি এমন সময়ে এল, ফেসবুক যখন তীব্র চাপের মুখে। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন সংবাদমাধ্যমে অভ্যন্তরীণ অনেক তথ্য ফাঁস করেছেন। মার্কিন কংগ্রেসে তিনি বলেছেন, ফেসবুক সব সময় মানুষের ভালোর চেয়ে মুনাফায় গুরুত্ব দিয়েছে, শিশু-কিশোরদের ক্ষতি করছে জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা। হাউগেনের ফাঁস করা তথ্যের সূত্র ধরে ফেসবুক নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

এ মাসের শুরুর দিকে ফেসবুকের ভুলে মূল সেবাগুলো প্রায় ছয় ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থাও অচল হয়ে পড়ে। সে সময় হাউগেন কংগ্রেসকে বলেছিলেন, ‘পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিভেদ তৈরিতে, গণতন্ত্রের বিনাশ এবং নারীদের তাঁদের শরীর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরিতে ব্যবহার হয়নি ফেসবুক।’

ফেসবুক হয়তো আশা করছে, নতুন নাম নিয়ে তারা পুরোনো দুর্নাম পেছনে ফেলতে পারবে।