বিশ্বে ২ দিন ধরে কমছে করোনা সংক্রমণ
বিশ্বজুড়ে দুই দিন ধরে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ কমছে। গত শুক্রবার সংক্রমণ ছিল সাড়ে ১৬ লাখ। আর শনিবার সংক্রমণ ছিল প্রায় ১৩ লাখ। করোনার সার্বক্ষণিক তথ্য সরবরাহকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকে। গত ১৫ অক্টোবর বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ। এরপর নভেম্বরের শুরুর দিকে সেই সংক্রমণ পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যায়। আর ডিসেম্বরের শুরুতে এসে সংক্রমণ সাত লাখ ছাড়ায়।
করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর পর সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৯২ হাজারের বেশি। এর আগে গত বছরের মাঝামাঝি করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছিল। এপ্রিলের মাঝামাঝি সংক্রমণ ছিল ৯ লাখ।
বর্তমানে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে ইউরোপ দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। রেকর্ড হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রেরও। ইউরোপে শনিবার সংক্রমণ শনাক্ত হয় ৩ লাখ ৬৮ হাজার। আর শুক্রবার সংক্রমণ ছিল প্রায় সাড়ে সাত লাখ। মঙ্গলবার ইউরোপের দেশগুলোয় আক্রান্ত হন ৬ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রেও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গত বছরের জুনে দেশটিতে সংক্রমণ ১০ হাজারে নেমে এসেছিল। সেই সংক্রমণ গত আগস্টের শেষে দুই লাখে পৌঁছায়। আর ডিসেম্বরের শেষে সেই সংক্রমণ চার লাখ ছাড়িয়ে যায়। গত ৩০ ডিসেম্বর দেশটিতে সংক্রমণ ছিল ৫ লাখ ৭২ হাজার। গত বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছিল। ওই সময় গড় সংক্রমণ ছিল প্রায় তিন লাখ। সেই সময় সংক্রমণের অন্যতম কারণ ছিল করোনার ডেলটা ধরন। কিন্তু করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রন ছড়ানোর পর থেকে বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ বাড়ছে। এবারের ধাক্কায় সেই সংক্রমণ দ্বিগুণ হলো।
এদিকে অমিক্রনের কারণে সংক্রমণ বাড়লেও মৃত্যুতে এর প্রভাব কম। গত বছরের জানুয়ারিতে ডেলটার প্রভাবে মৃত্যু ছিল ১৫ হাজারের বেশি। কিন্তু এ বছর অমিক্রনের প্রভাবে মৃত্যু সাড়ে তিন থেকে চার হাজারের মধ্যে।
শুধু পরিসংখ্যান নয়, বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, করোনার নতুন অমিক্রন তুলনামূলক কম প্রাণঘাতী। এই ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তির গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকিও কম। আর যাঁরাও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের কম দিন থাকতে হচ্ছে সেখানে।