সিডনির বন্দুকধারী ২৭ বছর আগে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় যান
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সমুদ্রসৈকতে গতকাল রোববার হামলার ঘটনাকে ‘শয়তানি ইহুদিবিদ্বেষের কাজ’ কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। এই হামলার পর সিডনিজুড়ে শোক, আতঙ্ক ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
তদন্তে নেমে সিডনি পুলিশ দুই হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে। তাঁরা হলেন—সাজিদ আকরাম (৫০) ও তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম (২৪)। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই সাজিদ নিহত হয়েছেন। তিনি বৈধভাবে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক ছিলেন। তিনি একটি বিনোদনমূলক বন্দুক ক্লাবের সদস্য ছিলেন।
সাজিদ প্রায় ২৭ বছর আগে ১৯৯৮ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন। তবে তিনি কোন দেশ থেকে এসেছিলেন, তা উল্লেখ করেনি পুলিশ। সাজিদ ২০০১ সাল থেকে স্থায়ী ভিসায় ছিলেন। তাঁর ছেলে নাভিদ জন্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। এই হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক নিশ্চিত করেছেন, ২০১৯ সালের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশনের (এএসআইও) নজরদারিতে এসেছিলেন নাভিদ। তবে সে সময় কোনো চলমান বা তাৎক্ষণিক হুমকির আভাস না পাওয়ায় তখন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ আজ বিকেলে (সোমবার) মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে তিনি বন্দুক আইনকে আরও কঠোর করার প্রস্তাব দিতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা সীমিত করা এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর লাইসেন্স যাচাই করার মতো কঠোর ব্যবস্থা নিতে চান।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়া আহমেদ আল আহমেদের প্রশংসা করে বলেন, তাঁর বিষয়টি বন্দুকধারীদের জঘন্য কাজের সম্পূর্ণ বিপরীত।