কেনিয়ায় বিক্ষোভের আশঙ্কায় সড়কে কড়া নিরাপত্তা
কেনিয়ায় কর বৃদ্ধির বিলকে কেন্দ্র করে দেশটিতে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার আবারও বিক্ষোভ হতে পারে। তাই সতর্কতা হিসেবে রাজধানী নাইরোবির গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোর চারপাশের সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে দাঙ্গা পুলিশ।
কর বৃদ্ধির প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার দেশটির রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভের একপর্যায়ে পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর চালালে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ২২ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এরপরই দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর ওপর বেশ চাপ তৈরি হয়। তিনি গতকাল বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বিলটি প্রত্যাহার করবেন বলে ঘোষণা দেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছেন, বিক্ষোভে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক প্রকাশে তাঁরা আবারও একত্র হওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
অনেকে আবার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন স্টেট হাউস অভিমুখে মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে বিক্ষোভের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এর বিরোধিতা করেছেন। কারণ, তাঁদের আশঙ্কা, এতে আবারও সহিংসতা ঘটার ঝুঁকি রয়েছে। নিরাপত্তাকর্মীরা ওই ভবনে যাওয়ার সব সড়ক বন্ধ করে দিয়েছেন। সেখান দিয়ে অন্য সময় চলাচল করে এমন কিছু মোটরসাইকেল আরোহী ও পথচারীদের পুলিশ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ফুটেজে দেখানো হয়েছে প্রধান বাণিজ্যিক নগরীর রাস্তাঘাট খালি পড়ে আছে। সড়কে অনেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা টহল দিচ্ছেন।
দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মোমবাসা শান্ত আছে। কিন্তু কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় মিগোরি কাউন্টিতে কয়েকটি সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। পশ্চিমের আরেক শহর কিসোমোতে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হচ্ছেন।