নাইজেরিয়ায় বন্যায় ৫০০ জনের মৃত্যু, বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ

বন্যায় আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে দুর্বল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়
ছবি: রয়টার্স

নাইজেরিয়ায় এক দশকের মধ্যে ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে ১৪ লাখ মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে। সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

প্রবল বৃষ্টির কারণে এই বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে দুর্বল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে দেশটিতে খাদ্যনিরাপত্তা ও মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নাইজেরিয়ার মানবিকবিষয়ক মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, বন্যায় ১৪ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি জানা গেছে। আহত হয়েছে ১ হাজার ৫৪৬ জনের মতো।

আরও পড়ুন

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের তথ্য উপপরিচালক রোদা ইশাকু ইলিয়া আরও জানান, ৪৫ হাজার ২৪৯টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭০ হাজার ৫৬৬ হেক্টর কৃষিজমি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।

জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র মানজো এজেকিয়েল এএফপিকে গতকাল বুধবার জানান, সবশেষ এই পরিসংখ্যান গত সপ্তাহের শেষে নেওয়া। তিনি বলেন, সাধারণত জুনে বর্ষাকাল শুরু হয়। তবে অধিকাংশ মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাস ঘিরে।

মানবিকবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা নাসির সানি-গওয়ারজো বলেন, ‘বন্যার্ত ব্যক্তিদের জনজীবন স্বাভাবিক করতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

আরও পড়ুন

বন্যার কারণে তেলবাহী ট্যাংকারগুলো পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোয় আটকে পড়ে। এতে জ্বালানিসংকট দেখা দিলে রাজধানী আবুজার পেট্রল স্টেশনগুলোয় চলতি সপ্তাহে অপেক্ষমাণদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।

নাইজার নদীর বন্যার কারণে দক্ষিণাঞ্চলীয় আনামব্রা রাজ্যে গত শুক্রবার এক নৌকাডুবির ঘটনায় ৭৬ জন প্রাণ হারান।

আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোয় ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোয় নভেম্বরে আর দক্ষিণে ডিসেম্বরে বর্ষা মৌসুম শেষ হয়। ২০১২ সালের বন্যায় নাইজেরিয়ায় ৩৬৩ জনের মৃত্যু হয়। বাস্তুচ্যুত হয় ২১ লাখের বেশি মানুষ।